দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য ৩৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত এই মন্ত্রিসভায় খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বন পেয়েছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তিনি নওগাঁ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভায় তিনি একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পেশায় কৃষি ও ব্যবসায়ী সাধন চন্দ্র মজুমদার রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন। তিনি চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামে। তার পিতার নাম কামিনী কুমার মজুমদার ও মাতার নাম সাবিত্রী বালা মজুমদার। নয় ভাই-বোনের মধ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার অষ্টম। ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালে তিনি পিতাকে হারান।
তিনি নওগাঁ কেডি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং চৌমুহনী সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করেন। তিনি নওগাঁ ডিগ্রী কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। চৌমুহনী কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেন।
চৌমুহনী কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে তিনি হাজিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, দুইবার প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দীর্ঘ দিন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসন থেকে অংশ নেন তবে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ছালেক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর-পোরশা-সাপাহার) থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধীদলসমূহ নির্বাচন বয়কট করলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি নওগাঁ-১ থেকে তৃতীয়বারের মত সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার ১৯৭৪ সালে চন্দনা রাণী মজুমদারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। চন্দনা রানী মজুমদার একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৯৩ সালেরং সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী মারা যান। তিনি চার কন্যা সন্তানের জনক।
মন্তব্য করুন