শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে চলমান শিক্ষক আন্দোলনে উস্কানি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, অবশ্যই উস্কানি আছে। কারণ যারা একেবারে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম অতীতে করেছে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না তারা এখন একেক দলের ওপর, একেক গোষ্ঠীর ওপর ভর করেছেন। আজকে শিক্ষকদের আন্দোলনের ওপরে ভর করে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা তাদের থাকতেই পারে। শিক্ষকদের বলব, এ রকম কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।

সোমবার (২৪ জুলাই) আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টিও শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট নয়। কারণ যারা সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে সরকারি স্কুল ও কলেজে নিয়োগ পান আবার যারা বেসরকারি এমপিওভুক্ত তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে গেলে কি পদ্ধতিতে আনা যাবে, আদৌ আনা যাবে কিনা নানা প্রশ্ন রয়েছে। এটি হঠাৎ করে আন্দোলন করে আদায়ের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনের আগের সময় আন্দোলনের মৌসুম। সবাই এই সময়ে সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু সরকার কোন চাপ নিতে পারবে কোনটি পারবে না, কোনটি করা সম্ভব, কোনটি একেবারে তাৎক্ষণিকভাবে সম্ভব নয় বরং সময় প্রয়োজন এগুলোও আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে।

দীপু মনি বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জাতীয়করণের দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরসহ সব শিক্ষক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। অনেক শিক্ষক বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকে রয়ে গেছেন। তারা হয়তো আরও কিছুদিন থাকবেন। কিন্তু শিক্ষকদের জায়গা শ্রেণিকক্ষে। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মসূচি পালন একেবারেই সঠিক নয়। যেহেতু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, আশা করব, তারা যেন শ্রেণিকক্ষে ফেরত যান।

তিনি আরও বলেন, জাতীয়করণ নিয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। কেননা জাতীয়করণের সঙ্গে বড় ধরনের আর্থিক বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে। বিষয়টি অনেক জটিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে লঙ্কান ক্রিকেটারের বাবার মৃত্যু

বিদেশি ঋণে রেকর্ড, ১১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

‘শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমাদের সংগ্রাম চলবে’

দুই দফা দাবি / আন্দোলনস্থান ত্যাগে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার আসামি টগর গ্রেপ্তার

শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

গাজায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে এক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ইন্দোনেশিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন / অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্ব

১০

পেনশন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর

১১

অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

১২

চাকসুতে ১০ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

১৩

চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি করতে নতুন ল্যান্ডফিল্ড কেনার উদ্যোগ চসিকের

১৪

রাত নামলেই লুট হচ্ছে কীর্তনখোলা নদীর বেড়িবাঁধের ব্লক

১৫

পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা গিরীধারী লালের পরলোকগমন

১৬

‘বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’

১৭

পাল্টে গেল সমীকরণ, এখন যেভাবে সুপার ফোরে যেতে পারে বাংলাদেশ

১৮

নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে

১৯

ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতালের অনন্য অর্জন

২০
X