কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মধ্যপ্রাচ্যে চীন কীভাবে আমেরিকার বিকল্প হচ্ছে?

সৌদি যুবরাজের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিষাক্ত থাবার’ সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চীন। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর ইচ্ছা থেকে চীনের বেশি মনোযোগ মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আনার মাধ্যমে নিজের বিনিয়োগকে সুরক্ষিত করায়।

আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে সৌদি আরব সফরকালে জোর দিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটন কাউকে ‘চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের’ মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে বেছে নিতে বলবে না।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কথাগুলো খুব সাধারণ মনে হলেও তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সৌদি আরব নীতি বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য নীতির বহিঃপ্রকাশ দেখছেন বিশ্লেষকরা।

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের একটি ধারা চলমান, যেখানে সম্পর্কগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে এবং ক্ষমতার কাঠামো দৃশ্যত স্থানান্তরিত হচ্ছে।

মার্চের পর থেকে সৌদি আরবে যাওয়া তৃতীয় শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা হলেন এন্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি এমন সময় সৌদি আরব সফর করেছেন যখন চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিরসন চুক্তির খবর বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছিল। এই চুক্তিটিকে অনেকে দেখছিলেন বেইজিংয়ের ‘কূটনৈতিক অভ্যুত্থান’ হিসেবে।

যখন এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, তখন চীনের শীর্ষ পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ওয়াং ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আপাত ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, ‘বিশ্ব শুধু ইউক্রেন ইস্যুতে সীমাবদ্ধ নয়।’

ইরান-রিয়াদে তার দূতাবাসে তালা ঝুলানোর সাত বছর পর নতুন করে দুই আঞ্চলিক পরাশক্তির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে ইরান-জেদ্দায় তার কনস্যুলেট পুনরায় চালু করেছে।

চলমান এই প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতেও মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বেইজিং। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এই প্রস্তাব নিয়ে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে ফোন করেছেন।

গত মঙ্গলবার, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫ বছরপূর্তিতে বেইজিং সফর করেছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস। এটি ছিল চীনে মাহমুদ আব্বাসের পঞ্চম সরকারি সফর।

বুধবার মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীন ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ বিবাদ মীমাংসার জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বিরোধের একটি টেকসই সমাধানে শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বেইজিং।

ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো—চীন কি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শূন্যতা পূরণ করতে চলেছে?

তবে এর উত্তর দেওয়া একেবারেই সহজ নয়। বরং তা কৌশলগত অঞ্চলের দীর্ঘ ইতিহাসের মতোই অনির্দিষ্ট এবং জটিল।

এন্টনি ব্লিঙ্কেন

দাবা খেলা চলছে

হংকংভিত্তিক বিশ্লেষক অ্যান্ড্রু লিউংয়ের মতে, বেইজিং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কাছাকাছি আসার অন্তত দুটি কারণ রয়েছে। তিনি আনাদোলুকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেলের সবচেয়ে বড় গ্রাহক যুক্তরাষ্ট্র নয় বরং চীন। দ্বিতীয়ত, সৌদি আরব ও ইরান উভয়ের সঙ্গেই চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, চীন মানবাধিকার, গণতন্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে কারও সমালোচনা করছে না। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো চীনের কাছাকাছি যেতে দ্বিধা করছে না।

অ্যান্ড্রু লিউং বলেন, বর্তমান বিশ্বের দুটি বড় শক্তি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে দারুণ দাবা খেলা প্রত্যক্ষ করছে মধ্যপ্রাচ্য। তিনি তার বক্তব্যের ব্যাখ্যায় বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান ইস্যু ছাড়াও প্রযুক্তি এবং কূটনীতি উভয় ক্ষেত্রেই চীনের প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমেরিকাকে।

চীনকে পর্যবেক্ষণ করা একজন ভাষ্যকার এবং বিশ্লেষক আইনার টাঙ্গেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেলের প্রধান গ্রাহক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার জায়গা হারিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা দখল করেছে চীন।

মধ্যপ্রাচ্যের বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জিসিসি অর্থাৎ গাল্ফ কো-অপারেটিভ কাউন্সিলের অধিভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর প্রধান জ্বালানি ক্রেতা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রাখতে চাইছে বেইজিং।

অর্থনীতির খেলা

সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির মিডল ইস্ট স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হংদা ফান বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের প্রধান লক্ষ্য হলো—অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্য সহযোগিতা।

মূল্যায়নটি গত ডিসেম্বরে রিয়াদে প্রথম চীন-জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে তিনি তেল ও গ্যাস লেনদেনের জন্য চীনা ইউয়ান ব্যবহারসহ বেইজিংয়ের পাঁচটি অগ্রাধিকারের রূপরেখা দিয়েছিলেন। চীনের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন।

অধ্যাপক হংদা ফান আনাদোলুকে বলেন, এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো শান্তি চায়, পাশাপাশি চীনও নিজের স্বার্থ অর্জনের লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য জোর দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরব-ইরান সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চুক্তিতে চীনের ভূমিকাকে অতিরঞ্জন হিসেবে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, চীনের সাফল্য আছে সত্যি, তবে একই সঙ্গে ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যেও সমস্যা সমাধানের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল। পাশাপাশি সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশ ইরাক ও ওমান।

তিনি আন্ডারলাইন করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। ‘চীন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণ করবে’ এই ধারণার সঙ্গে একমত না হয়ে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব এবং আকর্ষণ এখনো অন্যান্য বহিরাগত দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি।

অধ্যাপক হংদা ফান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন অর্জনের ওপর জোর দিয়েছেন, যা এই অঞ্চলে স্থায়ী স্থিতিশীলতা, শান্তি ও উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তিনি বলেন, চীন এমন একটি মধ্যপ্রাচ্য চাইছে যেখানে দুপক্ষই নিশ্চিন্তে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের শাসকদের সাথে শি জিনপিং এর সাক্ষাৎ

পরিবর্তনের অনুঘটক

বেইজিংয়ের তাইহে ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো আইনার বলেন, চীন মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিকে ‘বিষাক্ত’ বলে মনে করে। বিশেষ করে বছরের পর বছর মধ্যপ্রাচ্যে ‘সরাসরি হস্তক্ষেপ’ এবং অশান্তির কারণে আমেরিকাকে দায়ী মনে করে চীন।

তিনি বলেন, চীনের মধ্যে নিজের পক্ষে অনুকূল শর্ত তৈরি করার চেয়ে তাদের কথা বলানোর প্রচেষ্টা বেশি দেখা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণ সম্পর্কে অনেক কথা বলা সত্ত্বেও তিনি জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের সম্পৃক্ততার ফলাফল আমেরিকান ঔপনিবেশিক আধিপত্যের মতো নয়, বরং তা গঠনমূলক ঐকমত্য তৈরির একটি পদক্ষেপ।

আইনারের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের বিনিয়োগ এবং একটি বাণিজ্য বাজার তৈরির জন্য বেইজিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করেই একথা বলা হচ্ছে, ‘চীন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া শূন্যতা পূরণ করবে’।

তিনি বলেন, উদীয়মান বহুপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে চীনের লক্ষ্য গ্লোবাল সাউথের উত্থান ঘটানো। তিনি আরও বলেন, এটা পক্ষ বেছে নেওয়ার কোনো বিষয় নয়... বরং চীন এখানে পরিবর্তনের অনুঘটক হতে চায়।

শি জিনপিং এর সাথে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

ইসরায়েল আগ্রহী নয়

ইস্তাম্বুলভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের পরিচালক সামি আল আরিয়ানের মতে, ১৯৮০ সাল থেকে ইসরায়েল ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক থেকে বিশেষ করে প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষায় উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করেছে চীন। সেই সময় থেকেই চীন ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ’ অবস্থান ধরে রেখেছে।

তিনি আনাদোলুকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনিদের অনেক কিছু না দিয়েই চীন ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়ে সঙ্গতিপূর্ণ থাকার চেষ্টা করেছে ।

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্কের জন্য চাপ অনুভব করছে বেইজিং। কারণ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তার অবস্থান জাহির করার চেষ্টা করছে চীন। আর এজন্য ফিলিস্তিনকে সহায়তা দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া আরও কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জানান তিনি।

সামি আল আরিয়ান বলেন, চীন সৌদি আরবকে বোঝাতে চায়, তারা একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার। তারা সৌদিদের দেখিয়েছে, ডলারে নয় বরং তারা ইউয়ানে অর্থ প্রদান করতে পারে। এটি এই অঞ্চলে মার্কিন আধিপত্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

ইরান এবং অন্যান্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোয় সাফল্যের পর এখন চীন চাইছে অন্যান্য দিকগুলোতেও বিজয় প্রতিষ্ঠা করতে। এরপর সম্ভব হলে প্যালেস্টাইন বিষয়ে চীন একটি অগ্রগতি অর্জনে চেষ্টা করবে বলে মনে করেন আল আরিয়ান। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে শান্তি প্রচেষ্টা বা আলোচনায় যুক্ত হতে দেবে না। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, ইসরায়েলিরা আলোচনার জন্য আগ্রহী নয়।

মূল: রিয়াজ উল খালিদ, তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক গবেষক। বর্তমানে তিনি ইস্তাম্বুল সাবাহাতিন জাইম ইউনিভার্সিটি (IZU) এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পিএইচডি করছেন।

অনুবাদ: মুজাহিদুল ইসলাম

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩ প্যাকেট কাঁচা নুডলস খেয়ে ১৩ বছরের কিশোরের করুণ পরিণতি

তিস্তার বন্যায় কৃষকের স্বপ্ন ভাসছে অনিশ্চয়তার অথৈ জলে

ব্যাংকিং টিপস / ব্যাংকের সুদের হার ও চার্জ সম্পর্কে সচেতন থাকুন

শতভাগ লুটপাটমুক্ত দল জামায়াতে ইসলামী : ড. মোবারক

মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে এসে মারা গেলেন ছেলেও

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

সিঙ্গারে চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

মেসিহীন মায়ামিকে বাঁচাল রদ্রিগেজের দুর্দান্ত গোল

গাজায় যেভাবে দুর্ভিক্ষ নেমে এলো

লেভান্তের মাঠে বার্সার রোমাঞ্চকর জয়

১০

যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

১১

আকিজ গ্রুপে চাকরি, বেতন ছাড়াও থাকবে নানা সুবিধা 

১২

বাগেরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

১৩

যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি করছে ভারত

১৪

২৪ আগস্ট : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকে বিজয়ী করবে : মোমিন

১৬

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি

১৭

বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কলেজছাত্রীর কাণ্ড

১৮

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৯

২৪ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

২০
X