কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই

ছাত্রশিবিরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী আরও একদিন বাড়ল

ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে। ছবি : কালবেলা
ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী আরও একদিন বাড়ানো হয়েছে। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী আরও একদিন বর্ধিত করা হয়েছে। অর্থাৎ আগামীকাল সোমবারও প্রদর্শিত হবে এ প্রদর্শনী।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য কালবেলাকে জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ।

তিনি জানান, গণমানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে ‘ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী আগামীকাল বিকেল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী। আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টায় সমাপনীর মধ্য দিয়ে এ আয়োজনের পরিসমাপ্তি ঘটবে।

রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, শান্তদের আত্মত্যাগে সূচনা হয়েছিল চব্বিশের ফ্যাসিবাদকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করার সংগ্রামের। চব্বিশের আন্দোলন ছিল সকল দলমত নির্বিশেষে ছাত্রজনতার এক অভূতপূর্ব বিপ্লব, যেখানে কোনো একক দলের নয়, বরং পুরো জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, একটি অপশক্তি সেই বিপ্লবকে প্রতিবিপ্লবে পরিণত করার চক্রান্তে লিপ্ত। শহীদদের সেই ত্যাগ এবং আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের আত্মত্যাগকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে যেন অনেকেরই দ্বিধা রয়েছে। যে আন্দোলনে মা তার সন্তানকে শহীদ করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, সেই চেতনা আজ অনেকেই ধারণ করতে পারছে না। বিপ্লব-উত্তর এই বাস্তবতায় সেই আত্মত্যাগের স্পিরিটকে ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

জাতীয় চেতনায় এই জুলাইকে চিরভাস্বর রাখার দায়িত্ববোধ থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজন করেছে ‘ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

এ সময় কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন, ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত আমাদের এই উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলায়, সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ব্রিটিশসহ একটি আদিপত্যবাদী শক্তি। তারা এখনো আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের নীলনকশা করেই যাচ্ছে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল রুদ্ধ। মতপ্রকাশের সুযোগ থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। যখন আমরা, বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখনই জুলুম, নির্যাতন এবং নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছি। তিনি ছত্রিশে জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য সকল মহলে উদাত্ত আহ্বান জানান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের অপেক্ষায় পিতৃভূমি বগুড়ার মানুষ

এলডিপি থেকে চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর পদত্যাগ

ঢাবি বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

ভারতে কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ঢাকার গভীর উদ্বেগ

সাহায্যের আবেদনে যত টাকা পেলেন তাসনিম জারা

নোয়াখালীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৫

ব্লকবাস্টার সিনেমার সুপারফ্লপ রিমেক

তারেক রহমানের ফেরার দিনে পোশাক কারখানায় যে পরামর্শ দিল বিজিএমইএ

হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি প্রার্থীকে

ভোটে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় পুলিশ

১০

রুমিন ফারহানার আসনে যে প্রার্থী দিল বিএনপি

১১

ড্যাবের উদ্যোগে ১ হাজার রোগী পেলেন ফ্রি চিকিৎসাসেবা

১২

১১৯ আসনে প্রার্থী দিল জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

১৩

তারেক রহমানের সংবর্ধনায় অর্ধকোটি মানুষ উপস্থিত হবে : রিজভী

১৪

সার সংকটে চরম বিপাকে উত্তরাঞ্চলের আলু চাষিরা

১৫

নীলফামারী-১ / খালেদা জিয়ার ভাগ্নের বদলে যে প্রার্থী দিল বিএনপি

১৬

ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

১৭

এক ওভারে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়লেন ইন্দোনেশিয়ার পেসার

১৮

বিএনপির কাছে যে আবেদন জানালেন জমিয়ত সভাপতি

১৯

যেসব খাবার থেকে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, জানাল গবেষণা

২০
X