বিচার ও সংস্কারকাজের দৃশ্যমান অবস্থায় এনে এই সরকার জাতীয় নির্বাচন দিতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন সরকারের স্বদিচ্ছা।
মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে সংস্কার কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে এনসিপির তৈরি করা একটি ‘রূপরেখা’ কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আখতার হোসেন বলেন, সংস্কারকে একটি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে একটি মহল। মৌলিক সংস্কার বলতে নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার নয় বা দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারের মতো বিষয়গুলো মনে করি না। বরং ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহি ও বিকেন্দ্রীকরণ—এ তিন বিষয় অর্জন হচ্ছে মৌলিক সংস্কারের মূল ভিত্তি।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রকাঠামোকে কীভাবে স্বৈরতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলো থেকে মুক্ত করতে পারি, সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণের বাইরে এসে কীভাবে জাতীয় স্বার্থ প্রতিফলিত করতে পারি, কীভাবে বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে সত্যিকার অর্থে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে হাজির করা যায়, সব বিষয়কে মৌলিক সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত বলে আমরা মনে করি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন এবং উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রথম দফায় বৈঠক করে এনসিপি। দেশের মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে ঐকমত্য কমিশন।
মন্তব্য করুন