খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতারা উদ্বেগের সাথে বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সঠিক হবে না। কেননা, এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থ। বরং দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে পারলে দেশীয় জনবল দিয়েই বন্দরে বিরাজমান সংকট সমাধান সম্ভব। কক্সবাজার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরটিও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করতে পারলে চট্টগ্রাম বন্দরের সংকট আরও সমাধান হবে।
বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
বৈঠকে আরও বলা হয়, ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দল ও পক্ষসমূহের মধ্যে প্রকাশ্য বিভেদ ও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হতাশাজনক। এতে পতিত ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচার ও তার দোসররা লাভবান হবে। দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে সকলকে আরো সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আর সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার শেষ করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
পরে বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- আমরা অন্তর্বর্তী সরকারসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তিকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারসহ সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের লক্ষ্যে এবারের বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি। কোরবানি পশু ও চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে এখন থেকেই সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।
বৈঠকে আরো বলা হয়, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সরাসরি ইসলামের মৌলিক বিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছে। চরম বিতর্কিত এই কমিশন ও তাদের প্রস্তাবনা সমূহ বাতিলে কালক্ষেপণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। কারণ, উক্ত কমিশন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সূত্রপাত ঘটাতে চায়।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুর রহমান ফিরোজ, জহিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শায়খুল ইসলাম, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, ডা. আবদুর রাজ্জাক আসাদ, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, নূর হোসেন, আবুল হোসেন, আমির আলী হাওলাদার, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন