কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গণঅভ্যুত্থান কখনো একক কারও অবদানে সফল হয় না : মঞ্জু

বক্তব্য রাখছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি : কালবেলা
বক্তব্য রাখছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি : কালবেলা

গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৯৮ ভাগ মানুষের নাম কেউ জানে না বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

শনিবার (১৯ জুলাই) গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তোরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি।

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অ‍্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জেএসডির তানিয়া রবসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে এবং হাসিনা পালিয়ে না গেলে আজ হাজার হাজার শহীদ পরিবার ও আহতদের জঙ্গি তকমা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো, বিপন্ন হতো আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারাসহ আমাদের অনেকের জীবন। গণহত‍্যা চালানো আওয়ামী পুলিশ ও ছাত্রলীগ ক‍্যাডাররা পেত ‘বীরের খেতাব’। গণঅভ্যুত্থান কখনো একক কারও চিন্তা বা অবদানে সফল হয় না। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৯৮ ভাগ মানুষের নাম কেউ জানে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মজিবুর রহমান মঞ্জু ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল গণতন্ত্র মঞ্চ ও এবি পার্টির যৌথ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের নৃশংস হামলার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের স্মৃতি ও গল্প আছে। কিন্তু আমরা ঘুরে ফিরে অল্প কিছু মানুষের স্মৃতি ও গল্পই কেবল শুনছি। অভ‍্যুত্থানে অংশ নেওয়া ৯৮ ভাগ মানুষের কথা আমরা অনেকে শুনতে পারিনি। এবি পার্টির পক্ষ থেকে একটি জন-গণ-শুনানির দাবি জানানো হয়েছিল যার মাধ‍্যমে সবাই নিজ নিজ স্মৃতি ও নির্যাতন ভোগের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবে। কিন্তু সরকার সে রকম কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি বলেন, শহীদ আবু সাঈদের বাড়ির সামনে আজ নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছে, আমরা সবাই শ্রদ্ধাভরে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করছি। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান সফল না হলে এবং হাসিনা পালিয়ে না গেলে আজ হাজার হাজার শহীদ পরিবার ও আহতদের জঙ্গি তকমা দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হতো। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারাসহ আমাদের অনেকের জীবন বিপন্ন হতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘মোনালিসা’র চোখ ফাঁকি দিয়ে অভিনব চুরি, বিশ্বজুড়ে তোলপাড়

শাহজালালের কার্গোতে আগুনে ক্ষতি কত, জানাল বিজিএমইএ

লঘুচাপ-নিম্নচাপ নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

শরীয়তপুরে কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কালবেলার ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন

আ.লীগ আমলে একটাই খেলা হয়েছে, অস্ত্রের খেলা : দুলু

দেশের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ইরানে আরও একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সুস্থ থাকতে কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, জেনে নিন

ফেসবুকে দিয়েছিলেন বিনামূল্যে লাশ পরিবহনের খবর, তিনিই এখন যাত্রী!

দুর্নীতি ও বৈষম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে : ইসলামী সমাজ

১০

মোমের আলোয় প্রয়াতদের স্মরণ করেন স্বজনরা

১১

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, অস্ত্র প্রদর্শন

১২

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণ এখন সর্বোচ্চ দামে

১৩

খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও অবদানকে মূল্যায়ন করবে জনগণ : রহমাতুল্লাহ

১৪

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা : ফরম পূরণের সময় বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি

১৫

শাহজালাল বিমানবন্দরে পণ্য রাখার নতুন স্থান নির্ধারণ

১৬

ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ মিলছে ৪২ দেশের নাগরিকদের

১৭

বাগেরহাটে কলেজ ছাত্রদল সভাপতির ওপর হামলা

১৮

ঘাস চিবিয়ে মাঠ ‘অনুভব’ করতেন রোনালদো!

১৯

মালয়েশিয়ায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

২০
X