বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্রেসি এ্যান জ্যাকবসন।
এ সময় জামায়াতের নেতাদের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ করে রিফর্মস, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কোনো সিকিউরিটি থ্রেট আছে কি না? এ অঞ্চলে যে সিকিউরিটি থ্রেট আছে সে ব্যাপারে জামায়াতের স্ট্যান্ডিং জানতে চেয়েছেন। টেররিজমের ব্যাপারে জামায়াতের ভিউজ এবং বাংলাদেশের পজিশন জানতে চেয়েছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মগবাজার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমরা ক্লিয়ার বলে দিয়েছি যে, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন চাচ্ছি। আমরা বেসিক রিফর্মস চাই। বাংলাদেশে আর যেন কোনো দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতি ফিরে না আসে সে ব্যাপারে আমরা জিরো ভূমিকায় আছি। আমরা করাপশন ফ্রি একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের অলওয়েজ ডেমোক্রেসির পক্ষে স্ট্যান্ডিং রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটাও বলেছি যে, আমাদের ফরেন পলিসি হলো সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং কারও সাথে শত্রুতা নয়। একটা জেনারেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অব থিউরি এবং থিম যেভাবে কাজ করে, আমরা সেভাবেই কাজ করতে চাই—উইথ মিউচুয়াল রেসপেক্ট আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেসন্স। আমরা এটাও বলেছি যে, সকল নেইবরিং কান্ট্রির সঙ্গে কনজেনিয়াল এটমোসফিয়ার-এ গুড নেইবারহুড-এর যে প্রিন্সিপল অ্যান্ড পলিসি আছে উইথ সিকিউরিট অ্যান্ড রাইটস আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। মৌলিকভাবে এ কয়েকটি বিষয়ের ওপর আলোচনা হয়েছে।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, এটাও আলোচনা হয়েছে যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও বেটার হবে এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আগেও তারা কাজ করেছেন এবং আগামীতে আরও বেশি ক্লোজলি তারা কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমিরে জামায়াত একটি বিষয় তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, সেটা হলো ট্যারিফ সম্পর্কে। আমেরিকা আমাদের ব্যবসার ওপর ৩০ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়ে দিয়েছে; যেটা আমাদের দেশের স্পেশালি গার্মেন্টস সেক্টরকে সাংঘাতিকভাবে অ্যাফেক্ট করবে। জামায়াত আমির রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নমেন্টকে স্পেশাল অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে যেন কনসিডার করেন যাতে ট্যারিফ কমিয়ে দিয়ে একটা সহনীয় পর্যায় এনে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং অন্যান্য এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড যেসব গুডস আছে সেগুলো আমরা অব্যাহত রাখতে পারি।
এ সময় জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অঅ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সহকারী সেক্রেটারি সাইদা রুম্মান, মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট, কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগের মজলিসে শূরা সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আমিনা রহমান, আমীরে জামায়াতের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওভারঅল আমাদের সিকিউরিটি ইস্যু, ল ইস্যু এবং ইলেকশনের জন্য যে প্রস্তুতি, ফেয়ার করার জন্য যেসব অ্যারেজমেন্ট, রিফর্মস আছে সে সম্পর্কে আলোচনা হয়।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশেষ কোনো দেশের ব্যাপারে আমাদের কথা হয়নি। আঞ্চলিক ইস্যুতে তো আমাদেরও কনসার্ন আছে। যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা করা সম্ভব এবং প্রয়োজন সেখানে আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে আমরা একমত পোষণ করেছি।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব ক্লিয়ার; মানবতাবিরোধী, আমাদের কালচার বিরোধী, আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন বিরোধী যদি কোনো কিছু থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা এটার বিরোধিতা করব এবং আমরা বিরোধিতা করছি। যদি পজেটিভ হেল্প করার জন্য এটা এক্সপানশন হয় তাহলে তো ইটস ওকে। এজন্য আমাদের স্ট্যান্ডকে ক্লিয়ারলি অবজারভেশনে রেখে আমরা আমাদের ভূমিকা নির্ধারণ করব।
মন্তব্য করুন