জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা (সিইও) ফাহিম সালেহ হত্যার ঘটনায় তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিলকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। ২০২০ সালের জুলাইয়ে নিউইয়র্কে একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুনের শিকার হন তাকে হত্যা ও তার চার লাখ ডলার চুরির অভিযোগে হাসপিলকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের সুপ্রিম কোর্ট তাকে এ সাজা দিয়েছে।
২০২০ সালে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। গত ২৪ জুন ম্যানহ্যাটন সুপ্রিম কোর্ট এ মামলায় তার সাবেক সহকারীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। দোষী সাব্যস্তের দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে ম্যানহাটনের সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা ঘোষণা করেন।
আদালতে তার সাবেক সহকারী টাইরেস হাসপিল জানান, প্রেমিকাকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা উপহার কিনতে তিনি ফাহিমের অর্থ চুরি করেছিলেন। পরে এ বিষয়টি আড়াল করতেই তিনি ফাহিমকে হত্যা করেন। তবে তার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন বিচারক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের চার লাখ মার্কিন ডলার চুরি করেন। এরপর বিষয়টি আড়াল করতে হত্যার পর তার ইলেক্ট্রিক করাত দিয়ে খণ্ড বিখণ্ড করেন। এ ঘটনায় হাসপিলকে ফাস্ট ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ফাহিম সালেহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ও মার্কিন নাগরিক ছিলেন। তিনি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ছিলেন। এ ছাড়া নাইজেরিয়াভিত্তিক স্কুটার স্টার্ট-আপ গোকাদার প্রধান নির্বাহী ছিলেন ফাহিম।
২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিজ অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম। এ ঘটনার তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৩ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
আইনজীবীরা বলছেন, হাসপিল ফাহিমকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন। আদালতে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন