ক্রিকেটকে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। শনিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় অলিম্পিক বাছাই পর্বের জন্য ‘হাইব্রিড মডেল’ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই নতুন মডেলের আওতায়, টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে অলিম্পিকে জায়গা পাবে, অন্যদিকে বাকি দলগুলোকে পেরোতে হবে বাছাই পর্বের বাঁধা। আইসিসি এখনো চূড়ান্তভাবে জানায়নি কতটি দল সরাসরি যাবে, তবে বোর্ড ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে—পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানীয় একাধিক দল পাবে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ।
ভারত, যারা বর্তমানে পুরুষ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে, এই সিদ্ধান্তে সরাসরি লাভবান হবে। একইসঙ্গে অন্য শীর্ষ দলগুলোর মধ্যেও অলিম্পিক নিশ্চিত করার লড়াই আরও জোরদার হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আইসিসির এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড গভর্নেন্স সংকটে জর্জরিত। যদিও ইউএসএ ক্রিকেটের ওপর সম্ভাব্য শাস্তি স্থগিত রেখে তিন মাস সময় দিয়েছে আইসিসি, তবে অলিম্পিকের মতো মঞ্চে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে কেবল স্বাগতিক হওয়াই যথেষ্ট নয়—প্রয়োজন নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণও।
হাইব্রিড মডেলের মূল লক্ষ্য হলো, র্যাঙ্কিংয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা শক্তিশালী দলগুলোকে পুরস্কৃত করা, আবার একইসঙ্গে উদীয়মান দেশগুলোকে বাছাইপর্বের মাধ্যমে সুযোগ দেওয়া। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অলিম্পিক খেলতে পেরোতে হবে বাছাইপর্বের বাঁধা।
এছাড়াও, শনিবারের বোর্ড বৈঠকে তিন ফরম্যাটের কাঠামো নিয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যারা আগামী দিনে খেলাগুলোর ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে সুপারিশ দেবে।
মন্তব্য করুন