

বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন এক অদ্ভুত চক্রে আটকে গেছে—বোলাররা লড়াই দেন, ব্যাটাররা ভাঙেন সেই আশার কাঠামো। ম্যাচ যতই পরিবর্তিত হোক, ফলের ভাষা যেন একই থেকে যায়। সিরিজ হার, ব্যাটিং ব্যর্থতা, আত্মসমালোচনার বুলি—সব মিলে এক নিঃশ্বাসে বলা যায়, ‘আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’ কিন্তু বাস্তবতা কঠিন, কারণ মাঠে বারবার সেই ভুলই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সাগরপাড়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন বাংলাদেশ নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে, তখন সেটি শুধু একটি ম্যাচ নয়—একটি মান-রক্ষার লড়াই। দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ ইতোমধ্যে হাতছাড়া। এবার লক্ষ্য একটাই—হোয়াইটওয়াশ এড়ানো।
মিরপুরের ধীর, স্পিন সহায়ক উইকেট থেকে এবার দূরে চট্টগ্রামের ব্যাটিং-বান্ধব কন্ডিশনে খেললেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চেহারা বদলায়নি। গত দুই ম্যাচেই দেখা গেছে একই গল্প—শুরুর পর ধস। বোলাররা যেমন মুনশিয়ানার ছাপ রেখেছেন, ব্যাটাররা ততটাই নিষ্প্রভ।
এমন প্রেক্ষাপটে আজকের একাদশে পরিবর্তন আসছে প্রায় নিশ্চিতভাবেই। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ জাকের আলী অনিকের আজ একাদশে না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তার জায়গায় দেখা যেতে পারে অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসানকে, যিনি বলের পাশাপাশি ব্যাটেও কিছুটা স্থিতি এনে দিতে পারেন।
একইভাবে ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থ শামীম পাটোয়ারীকে জায়গা ছাড়তে হতে পারে নুরুল হাসান সোহানের জন্য। সোহানের উপস্থিতি ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা ভারসাম্য আনবে বলে আশা। এদিকে, বিশ্রাম পেতে পারেন তাসকিন আহমেদ, তার পরিবর্তে দেখা যেতে পারে শরিফুল ইসলামকে—যিনি শেষ কয়েক সিরিজে নতুন বলে ধারাবাহিকভাবে কার্যকর ছিলেন।
আরেক সম্ভাব্য পরিবর্তন তাওহীদ হৃদয়কে ঘিরে। তার জায়গায় টপ অর্ডারে ফিরতে পারেন পারভেজ হোসেন ইমন, যিনি আক্রমণাত্মক খেলার ধরন দিয়ে দলের ব্যাটিংয়ে নতুন ছন্দ আনতে পারেন।
একনজরে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তানজিদ হাসান তামিম, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন ইমন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
চট্টগ্রামের বাতাসে তাই আজ একটাই প্রশ্ন ঘুরছে—বাংলাদেশ কি পারবে নিজেদের লজ্জা মোচন করতে? নাকি পুরোনো ভুলের পুনরাবৃত্তিতেই শেষ হবে সিরিজের গল্প? সন্ধ্যা ৬টা থেকে জবাব দেবে মাঠই।
মন্তব্য করুন