

দারুণ এক সকালে আধিপত্যের গল্পটা হয়তো লেখা হতো মাহমুদুল হাসান জয়ের দ্বিশতকে, তবে তা হয়নি। ১৭১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে জয় থামলেও, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকল ম্যাচ—এমনটাই জানিয়ে গেল সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন। আয়ারল্যান্ডের বোলাররা তিনটি উইকেট তুললেও লাঞ্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ এগিয়ে ১৬১ রানে, হাতে এখনো ৬ উইকেট!
দিনের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার জয়ের শেষ অধ্যায় দিয়ে। আগের দিন ১৫৪ থেকে ১৭১—ক্ল্যাসিক টেস্ট ইনিংসের সুন্দর সমাপ্তি। ২৮৬ বলের ইনিংসে ছিল ১৪ চার ও ৪ ছক্কার সাজানো এক ধৈর্যের প্রতিমূর্তি। ওভারনাইট পার্টনার মমিনুল হকও খেলেছেন দায়িত্বশীল এক ইনিংস, ৮২ রানে বিদায় নিয়েছেন ব্যারি ম্যাককার্থির বলে।
তবে এখানেই থামেননি বাংলাদেশের রানের ধারা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নামতেই বদলে যায় গতি। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে মাত্র ৬৯ বলে ৬১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। মুশফিকুর রহিমও একপাশে সঙ্গ দিয়েছিলেন, যদিও ৯৯তম টেস্টে ২৩ রানে আউট হয়ে যান। এরপর লিটন দাস নেমে দ্রুত ছন্দে ফিরেছেন, ২৪ বলে ১৯ রানে লাঞ্চে পৌঁছে দেন দলকে।
১১১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর এখন ৪৪৭/৪ — রানের গতি ৪-এর ওপরে। উইকেটে স্পিনারদের জন্য কিছুটা সহায়তা দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এই লিডই ইতিমধ্যে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট হতে পারে।
আয়ারল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ম্যাককার্থি ও ম্যাথিউ হামফ্রিজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। তবে বাকি সবাই ছিলেন ব্যর্থ।
বাংলাদেশ এখন চাইবে এই ইনিংসকে আরও বড় করা—বিশেষ করে মিরাজ, শান্ত, লিটনদের ব্যাটে যদি লিড ৩০০ ছাড়ায়, তাহলে সিলেটেই লেখা হতে পারে জয়ের আরেক ইতিহাস।
মন্তব্য করুন