

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে রেকর্ড বই উল্টে দিলেন টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার প্রথম উইকেটে গড়েছেন ৩২৩ রানের বিশাল জুটি, যা টেস্ট ক্রিকেটে কিউইদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ডটি ছিল ১৯৭২ সালে টেরি জার্ভিস ও গ্লেন টার্নারের—ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই, জর্জটাউনে ৩৮৭ রান। সেই তালিকায় এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো লাথাম–কনওয়ের জুটি।
এই ৩২৩ রানের জুটি আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড গড়েছে। এটি নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। এর আগে ২৭৬ রানের জুটি ছিল সর্বোচ্চ, যা হয়েছিল ১৯৩০ সালে স্টিউই ডেম্পস্টার–জ্যাকি মিলস এবং ১৯৯৯ সালে শেরউইন ক্যাম্পবেল–অ্যাড্রিয়ান গ্রিফিথের মাধ্যমে।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (২০১৯ থেকে শুরু) ইতিহাসেও এটি এখন সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। আগের রেকর্ড ছিল রোহিত শর্মা ও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৩১৭ রানের জুটি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৯ সালে। একই সঙ্গে ২০২৫ সালে যেকোনো উইকেট জুটির মধ্যেও এটি সর্বোচ্চ।
এই ম্যাচে লাথাম ও কনওয়ে দুজনেই সেঞ্চুরি করেছেন—লাথামের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩৭ রান, আর কনওয়ে দিন শেষ করেছেন অপরাজিত ১৭৮ রানে। এর মাধ্যমে টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল, যেখানে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার একই ইনিংসে শতক পেলেন।
লাথাম–কনওয়ে জুটির জন্য এটি টেস্টে চতুর্থ শতরানের ওপেনিং পার্টনারশিপ, যা নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ ক্ষেত্রে তারা কেবল জন রাইট ও ট্রেভর ফ্র্যাঙ্কলিনের (৫টি) পেছনে। এছাড়া এটি তাদের দ্বিতীয় ১৫০+ ওপেনিং জুটি; এর আগে ২০২২ সালে করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা ১৮৩ রান যোগ করেছিলেন।
পরিসংখ্যান বলছে, এই জুটি এখন পর্যন্ত টেস্টে ৪৩ ইনিংসে ১,৭২১ রান সংগ্রহ করেছে, গড় ৪০.০২—যা নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল জন রাইট ও ব্রুস এডগারের (১,৬৫৫ রান) দখলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা প্রথম উইকেট পেতে অপেক্ষা করেছে ৫২০ বল বা ৮৬.৪ ওভার—এই শতাব্দীতে টেস্টে চতুর্থ দীর্ঘতম ‘প্রথম উইকেট খরা’। দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩৩৪/১, যা কিউইদের মাটিতে টেস্টের প্রথম দিনে এক উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর।
সব মিলিয়ে, লাথাম ও কনওয়ের এই জুটি শুধু ম্যাচের নিয়ন্ত্রণই নেয়নি, নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায়ও যোগ করেছে।
মন্তব্য করুন