এবারের বিপিএলে বড় এক হতাশার নাম দুর্দান্ত ঢাকা। অথচ প্রথম ম্যাচেই আগের আসরের শিরোপাজয়ী দল কুমিল্লাকে হারিয়ে শুরু করে তারা। কিন্তু তার পরের গল্প শুধুই হতাশা আর আক্ষেপের। বিপিএল যখন শেষের দিকে তখনও তাদের নামের পাশে এক জয়। এই জয় নিয়েও বিপিএলের প্লে-অফের ক্ষীন আশা ছিল তাদের, তবে আজ বিপিএলে নিজেদের নবম ম্যাচে হার তা পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে। ফরচুন বরিশালের কাছে বড় পরাজয়ে সবার আগে প্লে-অফ দৌড় থেকে ছিঁটকে গেল ঢাকার ফ্রাঞ্চাইজিটি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে দুই বল বাকি থাকতেই ১৪৯ রানে অলআউট হয় ঢাকা। ৪০ রানের বড় জয়ে নিজেদের প্লে-অফ হোপ যেমন বাঁচিয়ে রাখল বরিশাল। তেমনি অষ্টম হারে সেই স্বপ্নের বিসর্জন দিল ঢাকা।
১৯০ রানের বিশাল টার্গেটে ঠিক কখনোই ম্যাচে ছিল না ঢাকা। বড় এই টার্গেটের তাড়ায় ঢাকার শুরুটা ছিল ধীরগতির। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাব্বির হোসেনকে হারায় এবারের নবাগত ফ্রাঞ্চাইজিটি। এরপর গত ম্যাচে বড় রান পাওয়া মোহাম্মদ নাঈম শেখও থিতু হতে পারেননি, ব্যক্তিগত মাত্র ১০ রানে তিনিও খেই হারান। দ্রুত উইকেট হারাতে থাকা দলটি পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে তোলে মাত্র ৪১ রান। পরের ওভারে আগের ম্যাচের অর্ধশতক হাকানো সাইফ হাসানকে হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে। সেই বিপদ থেকে উদ্ধারে অ্যালেক্স রসের সঙ্গে জুটি বাধেন এসএম মেহেরুব। রস দ্রুতগতিতে রান তুললেও মেহেরুব হাত খুলতেই পারছিলেন না।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হয়ে যাওয়ার আগে ২৯ বলে ২৮ রান করেন। তখনই ঢাকার হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল পরবর্তী ২১ রানে ঢাকার আরও ৪ উইকেটের পতন। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন রস। যদিও ১৯তম ওভারে তিনি বিদায় নেন। তার আগে ৩০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় রস করেন ৫২ রান।
মাঝে একটি ছয় ও চারের বাউন্ডারিতে ব্যবধান কমিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ১৯.৪ ওভারেই তার দল ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী মিরাজ ও ওবেদ ম্যাককয়।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করা বরিশাল মাত্র ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। তবে এরপর মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্যর দুর্দান্ত ১৩৯ রানের জুঁটিতে ভর করে ১৮৯ রান করে বরিশাল। দুজনেই ঝোড়ো ফিফটি পেয়েছেন। শেষদিকে শোয়েব মালিকও তাণ্ডব চালিয়েছেন। ৪৭ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর আর উইকেট হারায়নি বরিশাল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সৌম্য ও শোয়েব মালিক। শেষ তিন ওভারে তারা ৩১ রান যোগ করেন। সৌম্য ৪৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। দুটি চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রান করেন শোয়েব। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দলের প্রধান দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল।
মন্তব্য করুন