নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে এবং গ্রুপের আরেক ম্যাচে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ২-২ গোলে ড্রয়ের ফলে সি-গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাওয়া নারী এশিয়ান কাপেই প্রথমবারের মতো খেলবে লাল-সবুজের মেয়েরা।
দুম্যাচ শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের পয়েন্ট ৩, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের ১ করে। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলেও এবং মিয়ানমার বাহরাইনকে হারিয়ে ৬ পয়েন্টে পৌঁছালেও হেড টু হেড বিবেচনায় এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই হিসেবেই টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
এই ফলাফলের পেছনে বড় অবদান রেখেছেন ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। আজকের ম্যাচে তাঁর জোড়া গোলেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। কোচ বাটলারের কণ্ঠে তাই প্রশংসার ঝর, ‘ঋতুপর্ণা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ওর গোলগুলো আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে এবং মেয়েরা দুর্দান্তভাবে তা ধরে রেখেছে।’
বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি শেষ দিকে নাটকীয় মোড় নেয়। ইনজুরি সময়ে গোল করে বাহরাইন ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করে, যা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তুর্কমেনিস্তান জিতলে পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের ওপর চাপ থাকত।
৫ জুলাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ঐ ম্যাচে ফল যা-ই হোক না কেন, বাংলাদেশ নারী দল এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ২০২৬ সালের নারী এশিয়া কাপের মূল পর্বে।
এই অর্জন শুধু একটি ফুটবল ম্যাচ জয়ের নয়, বরং দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৮০ সালে পুরুষ দল প্রথমবার এশিয়া কাপে খেলেছিল কুয়েতে। দীর্ঘ চার দশক পর এবার সেই মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন দেশের নারীরা—এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।
এটাই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জন, এবং এর নায়ক হয়ে রইলেন ঋতুপর্ণারা।
মন্তব্য করুন