ইউরোপিয়ান ফুটবলে গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হয়েছে, আর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো বরাবরের মতোই খরচের রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৮,৭৮০ কোটি টাকার (৩ বিলিয়ন পাউন্ড) লেনদেনে ফুটবল বিশ্বের নজর কেড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে লিভারপুলের ১২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা (প্রায় ২০০০ কোটি টাকা) খরচ করে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ইসাককে দলে নেওয়া শুধু রেকর্ড নয়— পুরো লিগের প্রতিযোগিতাকে আরও উত্তপ্ত করে দিয়েছে।
ডেলয়েটের হিসাব অনুযায়ী, মোট খরচ ৩ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৪৮,৭৮০ কোটি টাকা) ছাড়িয়েছে, যা পূর্বের ২.৩৬ বিলিয়ন পাউন্ডের (প্রায় ৩৮,৪৩৬ কোটি টাকা) রেকর্ডকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। লিভারপুল একাই ৪০০ মিলিয়ন (প্রায় ৬,৫০৪ কোটি টাকা) ব্যয় করেছে, আর আর্সেনাল, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং নিউক্যাসলও ২০০ মিলিয়নের বেশি (প্রায় ৩,২৫২ কোটি টাকা) খরচ করেছে।
কেন এত ব্যয়?
ডেলয়েট স্পোর্টস বিজনেস গ্রুপের পরিচালক টিম লান বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের প্রতিযোগিতা এখন সব সময়ের চেয়ে তীব্র। ইউরোপে খেলার জন্য প্রতিটি ক্লাব লড়ছে, আর বড় ক্লাবগুলো চাইছে নিজেকে আবার শীর্ষে ফিরিয়ে আনতে। এই প্রতিযোগিতা ফুটবল বাজারকেও তুঙ্গে নিয়ে গেছে।’
নতুন চার বছরের টেলিভিশন রাইটস চুক্তি, ছয়টি ইংলিশ ক্লাবের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা এবং ক্লাবগুলোর নিজস্ব রাজস্ব— সব মিলিয়ে এই বিশাল ব্যয় সম্ভব হয়েছে। লান আরও বলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের আকর্ষণ, ইউরোপে খেলার সম্ভাবনা এবং ক্লাবগুলোর আর্থিক ক্ষমতা— সব মিলিয়ে এই বিশাল খরচ সম্ভব হয়েছে।’
এটি প্রিমিয়ার লিগের ধারাবাহিক ১০তম গ্রীষ্ম, যখন মোট ব্যয় বিলিয়নের ঊর্ধ্বে পৌঁছেছে। সামনের বছরগুলোতেও এই ব্যয়ের ধারা কমবে না বলে তিনি মনে করেন।
সংক্ষেপে ব্যয়ের পরিসর
প্রিমিয়ার লিগের আর্থিক শক্তি এবং ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার আকর্ষণ খেলোয়াড় কেনার বাজারকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তবে অন্য লিগগুলোর এক্ষেত্রে প্রতিযেগিতায় পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে।
মন্তব্য করুন