

ফুটবল ম্যানেজার হিসেবে নিজের ১,০০০তম ম্যাচটা একেবারে স্মরণীয় করে রাখলেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা দৌড়ে টিকে থাকতে লিভারপুলের বিপক্ষে জেতার দরকার ছিল আর সেই কাজটিই গার্দিওলার দল করল একেবারে অনায়াসে।
ইত্তিহাদে রোববার রাতের এই ম্যাচে লিভারপুলকে ৩–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিটি। এতে আর্সেনালের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান নেমে এসেছে চারতে, আর শিরোপার লড়াই নতুন করে জমে উঠেছে।
ম্যাচের শুরু থেকেই সিটি আধিপত্য বিস্তার করে। যদিও ১৫ মিনিটে লিড নেওয়ার সুযোগ এসেছিল পেনাল্টি থেকে, কিন্তু লিভারপুলের গোলরক্ষক জর্জি মামারদাশভিলির হাতে আটকা পড়ে হালান্ডের শট। তবে ২৯ মিনিটে মাতেউস নুনেসের নিখুঁত ক্রস থেকে হালান্ডই তুলে দেন কাঙ্ক্ষিত গোল—এটাই ছিল তার চলতি মৌসুমে ক্লাব ও দেশের হয়ে ২৮তম গোল।
লিভারপুলও প্রথমার্ধে একবার জালে বল পাঠিয়েছিল, কিন্তু অ্যান্ডি রবার্টসনের অফসাইডের কারণে বাতিল হয় ভ্যান ডাইকের গোল। এরপর যোগ করা সময়ে সিটির ভাগ্য আরও প্রসন্ন হয়—নিকো গনসালেসের দূরপাল্লার শট ভ্যান ডাইকের গায়ে লেগে দিক বদলে জালে ঢোকে, মামারদাশভিলি তখন ভুলপথে।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের প্রতিরোধ ভেঙে দেন জেরেমি ডোকু। ৬২ মিনিটে ব্রাডলিকে কাটিয়ে দুর্দান্ত কার্ভে শট নিয়ে গোল করেন বেলজিয়ান উইঙ্গার। তার ডান পায়ের কিক মামারদাশভিলিকে সম্পূর্ণ অসহায় করে তোলে।
এই জয়ে ম্যানসিটি শুধু তিন পয়েন্টই নয়, আত্মবিশ্বাসও ফিরে পেয়েছে। আর গার্দিওলার জন্য এটি নিখুঁত স্মারক—ম্যানেজারিয়াল জীবনের ১,০০০তম ম্যাচে এমন এক জয়, যা হয়তো তার সেরা অর্জনগুলোর পাশে জায়গা করে নেবে।
মন্তব্য করুন