অপ্রত্যাশিত ঘটনায় বড় ধাক্কা খেলেন অ্যাথলেটিক ক্লাবের বাস্ক ডিফেন্ডার ইয়েরাই আলভারেজ। ডোপিং পরীক্ষায় নিষিদ্ধ পদার্থ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে উয়েফা। তবে স্বস্তির বিষয়, তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে— ইয়েরাই ইচ্ছাকৃতভাবে নয়, বরং ভুলবশত এই পদার্থ গ্রহণ করেছিলেন।
গত ১ মে, ইউরোপা লিগের এক ম্যাচ শেষে ইয়েরাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করে উয়েফা। পরীক্ষার ফলাফলে পাওয়া যায় ক্যানরেনন নামের এক উপাদান, যা ‘ডাইইউরেটিকস ও মাস্কিং এজেন্টস’-এর অন্তর্ভুক্ত এবং সর্বতোভাবে নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে। এরপর ২ জুন থেকে তিনি স্বেচ্ছায় খেলা থেকে সরে দাঁড়ান, যা কার্যত তার নিষেধাজ্ঞার শুরুর তারিখ হিসেবে ধরা হয়।
উয়েফার শৃঙ্খলা কমিটি ১৯ আগস্ট শুনানির পর সিদ্ধান্ত দেয়— ইয়েরাইকে ২ এপ্রিল ২০২৬ পর্যন্ত খেলাধুলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার শেষ দুই মাসে, অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ থেকে তিনি আবারও ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবেন।
অ্যাথলেটিক ক্লাব নিজেদের বিবৃতিতে জানায়, ‘উয়েফা শৃঙ্খলা কমিটি স্বীকার করেছে যে খেলোয়াড়ের কোনো ইচ্ছাকৃত ডোপিং ছিল না। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, তার সঙ্গিনীর ব্যবহৃত চুল পড়া রোধের একটি ওষুধ ভুলবশত গ্রহণ করেছিলেন ইয়েরাই। সেটিতেই ছিল নিষিদ্ধ উপাদান।’
তবে একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, খেলোয়াড় হিসেবে নিজের শরীরে কী যাচ্ছে, তার দায়ভার শেষ পর্যন্ত তারই।
ফলে ইচ্ছাকৃত নয় বলেই শাস্তি তুলনামূলকভাবে কম হলেও প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে ২৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে। অ্যাথলেটিক ক্লাবের রক্ষণভাগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইয়েরাইয়ের অনুপস্থিতি দলটির জন্য বড় ধাক্কা হয়েই দেখা দেবে।
মন্তব্য করুন