আবার ইস্তাম্বুলে ফাইনাল। এবারও মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ইতালির দুই ক্লাব। ২০০৪ সালের ফাইনালে লড়েছিল লিভারপুল আর এসি মিলান। রোমাঞ্চ ছড়ানো ফাইনালে নাটকীয়তার পর এসি মিলানকে হারিয়েছিল লিভারপুল।
এবার মুখোমুখি ইন্টার ও ম্যানচেস্টার সিটি। এবারও কি ইস্তামুল জন্ম দেবে বিস্ময়ের। আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়াম থেকে আবারও কি হতাশা নিয়ে ফিরবে মিলান শহরের দল। নাকি এখানেই রচিত হবে ম্যানসিটির নতুন ইতিহাস। শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা ম্যানসিটি খুঁজছে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। যা জিতলেই প্রথমবারের ট্রেবল পূর্ণ করবে ইংলিশ ক্লাবটি। অন্যদিকে লিগে তৃতীয় হলেও দারুণ এক মৌসুম শেষ করেছে ইন্টার মিলান। নবমবারের মতো জিতেছে ইতালিয়ান কাপের শিরোপা।
ম্যানসিটি রীতিমতো ছুটছে অদম্য গতিতে। তিন ম্যাচ হাতে রেখে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে ম্যানসিটি। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানইউকে হারিয়ে জিতেছে এফএ কাপের শিরোপা। ক্লাব ফুটবলের ইউরোপসেরার লড়াইয়ে গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ৪ জয় আর ২ ড্র নিয়ে নকআউট পর্বে পা রাখে তারা।
এরপর ম্যানসিটি বিদায় করেছে লিপজিগ, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো পরাশক্তিদের। প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরা ও ট্রেবল জেতার জন্য আর মাত্র এক জয় দরকার সিটির। চলতি আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার তকমা নিয়ে ফাইনাল খেলতে নামবেন আর্লিং হলান্ড।
ইউরোপ সেরার আসরে করেছেন ১২ গোল। ফাইনালে গোল করতে মুখিয়ে এই তারকা, ‘ফাইনালে খেলতে পারাটা অবশ্যই আমার কাছে বিশেষ কিছু। আমার সব সময়ের স্বপ্ন ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলা আর এই ম্যাচে খেলাটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। তবে আমার একটা কাজও করতে হবে। দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েছি আমরা আর সেটা দারুণভাবে শেষও করতে হবে। আমাদের সবার সেরাটা নিংড়ে দিতে হবে। ’ হলান্ড আর কেভিন ডি ব্রুইনাকে আটকে রাখতে পারলে ইস্তাম্বুলেও উঠতে পারে নীল ঢেউ। শুরুতে লিগ পর্বে কিছুটা পিছিয়ে ছিল ইন্টার মিলান। তবে নকআউটে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। এই পর্বের ৬টা ম্যাচের ৫টিতে কোনো গোল হজম করেনি তারা। বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও চলতি মৌসুমে ক্লাব জার্সিতে ভালো সময় কেটেছে তার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৯ ম্যাচে ২৫ গোল তার।
তাই তো ম্যাচটা যে কঠিন হবে তা মানছেন ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলা, ‘সত্যি বলতে কী, ইতালিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে ফাইনাল খেলাটা মোটেও সহজ বিষয় নয়। ইন্টার মিলান প্রতিপক্ষ হিসেবে খুবই কঠিন। সেমিফাইনাল জয়ের পর দলটি প্রসংশিত হচ্ছে। এমন দলের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত।’
এদিকে ম্যাচের আগে নিজের স্কোয়াডের ওপর অবিচল আস্থা ইন্টার মিলান কোচ সিমিওনে ইনজাগিরও, ‘ল্যাজিওর মতো ইন্টার মিলানেও আমার হাতে শক্তিশালী স্কোয়াড রয়েছে, যা ফাইনালের ভাগ্য লিখে দিতে পারে। ফাইনাল ম্যাচে আপনাকে রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণে নিখুঁত হতে হবে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে আমরা ঠিক এ কাজটাই করতে যাচ্ছি।’ কথার লড়াই শেষে এখন অপেক্ষা মাঠের লড়াইয়ের। ফর্মে তুঙ্গে থাকা ম্যানসিটিকে হারিয়ে ট্রেবল রুখে দেবে ইন্টার, নাকি ম্যানসিটির নীল প্লাবনে ভেসে যাবে ইন্টার মিলান।
মন্তব্য করুন