পল্টন ইনডোর স্টেডিয়াম নিয়ে অবশেষে টনক নড়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি)। এ ক্রীড়া স্থাপনার বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনএসসি সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পল্টন ইনডোর স্টেডিয়ামের সমস্যা নিরূপণ এবং সমাধানের জন্য প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে গঠিত কমিটিকে। এনএসসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক মো. আজমুল হককে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে এনএসসির প্রকল্প প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিনকে। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে এনএসসির উপপরিচালক আওলাদ হোসেনকে।
দীর্ঘদিন ধরে পল্টন ইনডোর স্টেডিয়ামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে আছে। এ ভেন্যুতে আছে আলো স্বল্পতাও। এ ছাড়া পানিসহ নানা সমস্যা নিয়েই এতদিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল ব্যাডমিন্টন এবং টেবিল টেনিস ফেডারেশন। কিন্তু সম্প্রতি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হয়ে থাকার কারণে প্রেসিডেন্ট কাপ টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ ভেন্যুর সংকট নিরসনে করণীয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণার জন্য কমিটি গঠন করা হলো।
এ-সংক্রান্ত চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাওয়া গেছে কি না? চিঠি পাওয়া গেলে তার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, এ বিষয়ে কাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন? এসবও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
২০১০ সালের এসএ গেমসের আগে নির্মাণ করা হয়েছিল পল্টন ইনডোর স্টেডিয়াম। নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই ইনডোরের মেঝের কাঠ নষ্ট হয়ে যায়। পরে তা মেরামত করে কার্যক্রম পরিচালনার উপযোগী করা হয়। পরবর্তী সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ত্রুটি ধরা পড়ে। ইনডোরের দুই পাশে ৩০টি করে মোট ৬০টি এসি স্থাপন করা হয়েছিল। কয়েকটি বিকল হয়ে যাওয়ার পর তা মেরামত না করে বাকিগুলো চালানো হয়েছে। এ কারণে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার জটিলতাও।
মন্তব্য করুন