

বিশ্বকাপ বাছাই প্লে-অফ সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিটি ম্যাচেই হোঁচট খেল বাংলাদেশ। আগেই সিরিজ জিতে নেয়া পাকিস্তানের জন্য শেষ ম্যাচটি ছিল কেবল নিয়মরক্ষার, কিন্তু সেখানেও স্বাগতিকরা রক্ষা পায়নি বড় ব্যবধানের পরাজয় থেকে। আজ ঢাকায় তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তান ১০–৩ গোলের ব্যবধানে জিতে সিরিজটা শেষ করেছে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে। তিন ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের জালে গেছে মোট ২৬ গোল, ফিরতি পথে বাংলাদেশ করতে পেরেছে মাত্র পাঁচটি।
প্রতিটি পরিসংখ্যানে পাকিস্তান যে অনেক এগিয়ে—সেটা জানা। কিন্তু পুরো সিরিজ জুড়ে বাংলাদেশ যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারেনি, সেটাই হতাশার জায়গা। আক্রমণে ধারহীনতা, রক্ষণে গলদ আর সুযোগ নষ্ট করার মহড়া—সব মিলিয়ে রেজাউল করিম বাবুর দল তেমন কোনো লড়াইই গড়ে তুলতে পারেনি। তরুণদের দিয়ে দল সাজালেও মাঠের বাস্তবতায় সেই ঝুঁকির ফল ভালো আসেনি।
পুরো ম্যাচে কয়েকটি নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করাও বড় ব্যবধানে হারের অন্যতম কারণ। রাকিবুল, আব্দুল্লাহ, সবুজ ও ওবায়দুল জয়রা কয়েকটি ‘কানেক্ট’ মিস করেন, আর ১৫তম মিনিটে খালি পোস্ট পেয়েও গোল করতে পারেননি সোহানুর রহমান সবুজ। এগুলোই পাকিস্তানের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও সহজ করে দেয়।
আজকের ম্যাচে পাকিস্তান ১৫টি পেনাল্টি কর্নার থেকে ৯টিতে গোল পেয়েছে—যা ব্যবধান আরও স্পষ্ট করে। একাই ৬ গোল করেছেন সুফিয়ান; আব্দুর রহমানের দুটি ও নাদিম আহমেদের একটি গোল আসে পেনাল্টি কর্নার থেকে। ফিল্ড গোলটি করেন রানা ওয়ালিদ। বিপরীতে বাংলাদেশের তিন গোলের দুটি ফিল্ড গোল এবং একটি পেনাল্টি কর্নার থেকে। সিরিজজুড়ে ৮টি পেনাল্টি কর্নার পেয়েও আশরাফুল ইসলাম কেবল একটি গোল করতে পেরেছেন।
এই দলে অনূর্ধ্ব–২১ দলের সাতজন খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা দু’দিন পরই ভারত সফরে গিয়ে খেলবেন অনূর্ধ্ব–২১ বিশ্বকাপ—যা বাংলাদেশের হকির ইতিহাসে প্রথম কোনো বিশ্বকাপ অংশগ্রহণ।
প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে সিরিজটা হয়তো গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স যে বড় ছবিতে সতর্কবার্তা—তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তিন ম্যাচের ব্যবধানে বিশাল গোল হজমেই।
মন্তব্য করুন