কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ঢেলে সাজানোর আহ্বান নাগরিক কমিটির

জাতীয় নাগরিক কমিটির লোগো। ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক কমিটির লোগো। ছবি : সংগৃহীত

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ এর অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ সময় প্রস্তাবিত সাইবার আইনের খসড়াটি পুনর্বিবেচনা করে এটিকে স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রণয়ন করার আহ্বানও জানায় তারা।

কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আন্তর্জাতিক সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান প্রস্তাবিত এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানায় নাগরিক কমিটি।

নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ তার পূর্বসূরি আইনের ধারণাগুলোকে উত্তরাধিকার সূত্রে গ্রহণ করেছে। এতে অনলাইন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা আইনের উদ্দেশ্যকে দুর্বল এবং অস্পষ্ট করে তোলে।

নাগরিক কমিটির মতে, প্রস্তাবিত সাইবার আইনে ‘ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধ’ এবং ‘অশ্লীল’-এর মতো শব্দগুলোর অন্তর্ভুক্তি কার্টুনিস্ট, শিল্পী এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা এক্টিভিস্টদের জন্য একটি বড় হুমকি তৈরি করে, যা সৃজনশীলতা, ভিন্নমত প্রকাশ এবং গঠনমূলক সমালোচনাকে দমন করতে পারে। এ ছাড়াও প্রস্তাবিত আইনে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সংস্থার মহাপরিচালককে (ডিজি) অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রদানের সমালোচনা করেছে নাগরিক কমিটি।

সংগঠনটি জানায়, খসড়া অধ্যাদেশের একাধিক ধারায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে তল্লাশি পরোয়ানা ছাড়া যে কোনো স্থানে প্রবেশ এবং তল্লাশির ক্ষমতা রয়েছে। সে সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে কোনো সংস্থা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ট্রানজিট ডেটাসহ যে কোনো তথ্য চাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এ বিধানগুলো সংবিধান দ্বারা প্রদত্ত গোপনীয়তার অধিকারের লঙ্ঘন করে, একই সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করে, যারা অতীতেও এ আইনের অধীনে ক্ষমতার অপব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিক কমিটি অভিযোগ জানিয়ে বলে, সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত ডিএসএ বা সিএসএর অধীনে কোনো মামলাকে বাতিল বা নিষ্পত্তি করা হয়নি এবং ভুক্তভোগীরা আজও এ আইনের বিধানের ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। অবিলম্বে এসব সমাধান করতে ব্যর্থ হলে সেন্সরশিপের সংস্কৃতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ও এটি জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে সম্মান করতে ব্যর্থ হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘টাইম টু টাইম’ শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন ডা. জুবাইদা

বিএনপি সবসময়ই ‘পলিটিক্স অফ কমিটমেন্টে’ বিশ্বাসী : রিজভী

বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

মির্জা আব্বাসের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভিপি সাদিক কায়েম

‘দেশের অগ্রযাত্রায় প্রবাসী তরুণদের জ্ঞান-প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে যুক্ত করতে হবে’

বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা

চায়ের দোকানে বিমান হামলা, নিহত ১৮

ববি ছাত্রদলের নেতৃত্বে মোশাররফ-শান্ত-মিজান

ব্রিজ উদ্বোধনের আগেই প্যান্ডেল ভাঙচুর

কুলদীপ–প্রসিধের চার উইকেট, জয়সওয়ালের শতকে সিরিজ ভারতের

১০

সামনের নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

‘ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে’, প্রেস সচিবের ‘রহস্যময়’ পোস্ট

১২

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ পুনর্নির্বাচিত

১৩

ভারতে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, ব্যাপক ধরপাকড়

১৪

বুসকেটস–আলবার বিদায়ক্ষণে মেসির ‘আরেক ফিনালিসিমা’

১৫

ব্রাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাতিলের আবেদন

১৬

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

১৭

খালেদা জিয়া নীতির প্রশ্নে আপস করেননি : খায়রুল কবির

১৮

বিশ্বকাপ ড্র ঘিরে আলোচনায় বাবা ভাঙার ‘উদ্বেগজনক’ ভবিষ্যদ্বাণী

১৯

ট্রাম্পকে দেওয়া ফিফা শান্তি পুরস্কারের কড়া সমালোচনায় নরওয়ে

২০
X