তীব্র গরমে এসি ছাড়া অনেকেই থাকতে পারেন না। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশে এসির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তবে প্রায় সময়ই আমাদের আশপাশে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা শোনা যায়। এতে অনেক প্রাণহানিও ঘটে। বেশিভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মূলত এসি ব্যবহারে অসচেতনতার কারণেই এমনটা ঘটে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসিতে আগুন লাগার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে, যেমন নিয়মিত সার্ভিস না করানো, ভেতরের ময়লা জমা বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট। কিন্তু এমন বড় দুর্ঘটনার আগেই বেশ কিছু সতর্কবার্তা দেখা দেয়, যেগুলো অনেকেই অজান্তেই উপেক্ষা করে যান। ফলে বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েই চলছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাড়িতে এসি থাকলে পাঁচটি সংকেত কখনোই হেলা করবেন না। চলুন জেনে নিই সেই পাঁচটি সংকেত কী কী-
১. ঠান্ডা করার ক্ষমতায় ওঠানামা
কখনো বেশি ঠান্ডা, কখনো কম এমন অনিয়মিত কুলিং এসির কম্প্রেসার বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের সমস্যার ইঙ্গিত। এতে কম্প্রেসার অস্বাভাবিক চাপের মধ্যে পড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. রিমোটের মোড কাজ না করা
কুল, ড্রাই, ফ্যান বা এনার্জি-সেভিং কোনো মোড যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে বুঝতে হবে এসির সেন্সরে সমস্যা হয়েছে। সব মোড অকেজো হলে দেরি না করে টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৩. অস্বাভাবিক শব্দ
এসি থেকে যদি হঠাৎ অচেনা শব্দ আসে, বুঝতে হবে ভেতরে কোনো সমস্যা তৈরি হচ্ছে। স্বাভাবিক সাউন্ডের পরিবর্তন দেখলেই তৎক্ষণাৎ পেশাদার টেকনিশিয়ানকে ডেকে চেক করান।
৪. বাতাসের প্রবাহে ব্যাঘাত
এসি চালু থাকা অবস্থায় যদি মাঝে মাঝে বাতাসের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়, সেটিও বিপদের লক্ষণ। ফ্যান বা ভেতরের কোনো অংশ বিকল হলে এমনটা হতে পারে। তাড়াতাড়ি মেরামত না করালে শর্ট সার্কিটের ঝুঁকি বাড়ে।
৫. এসির গায়ে অতিরিক্ত তাপ
দীর্ঘক্ষণ চালু রাখলে যদি এসির গা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হয়ে যায়, বুঝবেন ভেতরের গরম বাতাস ঠিকমতো বেরোচ্ছে না। ভেন্টিলেশনে ত্রুটি বা অন্য কোনো ত্রুটির কারণে এমনটা হতে পারে। দ্রুত মেরামত না করালে বড় বিপদ ঘটতে পারে।
কী করতে হবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উল্লিখিত লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি দেখলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ছোট্ট অবহেলাই আপনার বাড়ির এসিকে বড় দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টিভি
মন্তব্য করুন