২০২৫ সালের মে মাসে দেশের ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নারী ও কন্যা নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ সময়কালে মোট ১৮৪ নারী ও কন্যা বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫ কন্যাশিশু এবং ১০৯ নারী অন্তর্ভুক্ত।
ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ৪৫ জন, যার মধ্যে ৩১ জন কন্যাশিশু। ৭ জন (এর মধ্যে ৬ জন কন্যা) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪ জনকে, যার মধ্যে ৩ জন কন্যা। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৪ জনের ওপর, যার মধ্যে ১১ কন্যাশিশু। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৫ জন, এর মধ্যে ৩ জন কন্যা। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ১৩ জন (১০ জন কন্যাসহ)।
অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ১২ জনের ক্ষেত্রে, যার মধ্যে ৭ জন কন্যা। বিভিন্ন কারণে ৪৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩ জন কন্যা। ৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন (৪ জন কন্যাসহ) এবং ১ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, যার মধ্যে ১ জন কন্যা। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার ৪ জন, এর মধ্যে ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন, যাদের মধ্যে ১ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন, যার মধ্যে ২ জন কন্যা।
গৃহকর্মী হিসেবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১ জন। সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী। বাল্যবিবাহের একটি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। আরও ৮ জন (১ জন কন্যাসহ) বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
মন্তব্য করুন