বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা কম হওয়ার কারণে নারী শ্রমিকরা ঝরে যাচ্ছে। ২৫ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি প্রস্তাবের দাবি জানায় নারী শ্রমিক নেত্রীরা।
আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় নারীপক্ষ’র আয়োজনে প্রেস ক্লাব এর সামনে ‘ন্যায্য মজুরির লড়াইয়ে নারী সমাজ’ বিষয়ক অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্য দেন নারীপক্ষ’র সদস্য কামরুন নাহার। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষ’র সদস্য রেহানা সামদানী। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার বলেন, ন্যায্য মজুরিরর দাবিতে আমরা ২৫ হাজার টাকা মাসিক মজুরি ও ৬৫ শতাংশ বেসিক এর দাবি জানাই।
শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক নীলূফা বেগম বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও নারী শ্রমিকের মজুরি নিয়ে রাজপথে নামতে হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
সব ধরনের বৈষম্য দূর করার জন্য তিনি সাম্যতার আহবান জানান।
পরিবেশ ও পল্লী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী কামরুন নাহার খান বলেন, নারীরা শ্রমিকেরা অনেক পরিশ্রম করছে কিন্তু ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না। কম মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের পিছিয়ে রাখা হচ্ছে এই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভানেত্রী তাসলিমা আক্তারের মতে, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের শীর্ষ খাত হচ্ছে পোশক শিল্প। এই পোশাক শিল্পে ৪০ লাখ নারী শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নারীপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
নারীপক্ষের সমন্বয়কারী অর্থনৈতিক অধিকার কর্মসূচির মাহীন সুলতান। তিনি বলেন, নারী সংগঠন হিসেবে মজুরি আন্দোলনে আমাদের দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা সংহতি প্রকাশ করেছি। নারী শ্রমিকের প্রাপ্ত অধিকার না দিলে আমরা শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখতে পারবো না। মানুষের মত বেঁচে থাকতে হলে নূন্যতম ২৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা বেগম, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের আমেনা আক্তার, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সংগঠক রূপালী আক্তার, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, জাতীয় শ্রমিক জোটের শেখ শাহনাজ, রেডিমেট গার্মেন্স ওয়ার্কার ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক রূপালী খাতুন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন