কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাতৃভূমিতে ফিরতে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে রোহিঙ্গারা

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে উদ্দেশে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন রোহিঙ্গাদের। ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসে উদ্দেশে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন রোহিঙ্গাদের। ছবি : সংগৃহীত

মাতৃভূমিতে ফিরতে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর অত্যাচার আর নির্মম গণহত্যা চালিয়ে তাদের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হন। এখন আবার দেশে ফিরতে তারা গভীর জঙ্গলে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদমাদ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে মোহাম্মদ আয়াস নামের এক রোহিঙ্গা যুবকের বরাতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির এক ভোরে কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির থেকে বেরিয়ে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করেন। ২০১৭ সালে তিনি যে স্থান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন, সেখানে এবার ফিরে গেছেন অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিতে এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে—যারা তার সম্প্রদায়ের রক্তাক্ত নির্বাসনের জন্য দায়ী।

২৫ বছর বয়সী আয়াস রোহিঙ্গা শিবিরে শিশুদের বার্মিজ ভাষা শেখান। তিনি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, তিনি এবং হাজারো রোহিঙ্গা এখন একত্রিত হয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের ‘মাতৃভূমি ফিরে পাওয়ার’ পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত। আমার সম্প্রদায়ের জন্য আমি মরতেও রাজি আছি। মাতৃভূমি, আমাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা ফিরে পেতে এই লড়াইয়ে আমার কী হবে, তা নিয়ে আমি ভাবি না।

শরণার্থী ও সহায়তা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়াসের মতো শত শত রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় সশস্ত্র গ্রুপে যোগ দিচ্ছেন। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত নিপীড়িত মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি, যারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন।

দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট কক্সবাজার শিবিরের এক কমান্ডারের সাথেও কথা বলেছে। তিনি জানান, রোহিঙ্গারা সপ্তাহ বা মাসের জন্য গোপনে মিয়ানমারে গিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তারা সামরিক জান্তা এবং তাদের বিরোধী বিদ্রোহী গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

রোহিঙ্গা গ্রুপগুলো দাবি করছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে উভয় পক্ষই তাদের গণহত্যা ও জোরপূর্বক সেনাদলে ভর্তি করছে। এক রোহিঙ্গা যোদ্ধা বলেন, অং সান সু চি যদি ক্ষমতায় ফিরেন, পরিস্থিতি বদলাতে পারে—তবে তারা আর অপেক্ষা করতে রাজি নন।

আয়াস জানান, তিনি ছয় মাস জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারা প্রতিদিন তাঁবু বদলিয়ে সেনাবাহিনীর চোখ এড়াতেন। ভোর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হতো। গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কেউ অস্ত্রচালনা, মার্শাল আর্ট শিখতেন, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগ, গোয়েন্দা কার্যক্রম বা শত্রুর গতিবিধি ট্র্যাক করায় প্রশিক্ষণ নিতেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বেগম খালেদা জিয়া : গৃহিণী থেকে দেশনেত্রী এবং জাতির আত্মগৌরবের এক অনিবার্য প্রতীক

নভেম্বরে এলো ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স

খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা

রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং এরিস্টোক্রেটের ব্যবসায়িক আইডিয়া প্রতিযোগিতা

দেশে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

টাঙ্গাইলে ‘প্রিন্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন’-এর আত্মপ্রকাশ, সভাপতি বুলবুল, সম্পাদক উজ্জ্বল

খালেদা জিয়া সংগ্রাম ও সাহসের প্রতীক : কাজী বাশার

চুপিসারে দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন সামান্থা, পাত্র কে?

আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও

টেকনাফে ৬ শিশুকে অপহরণ, কৌশলে পালাল দুজন

১০

তরুণ ভোটারদের ভোটদানের আহ্বান আমিনুল হকের

১১

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের যে সমাধান দিলেন পোপ লিও

১২

কন্যাসন্তানের বাবা হলেন সংগীতশিল্পী ইমরান

১৩

বাবার মরদেহ আটকে রাখলেন ছেলে, ২৩ ঘণ্টা পর দাফন

১৪

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া চাইলেন তামিম ইকবাল

১৫

গরম দুধে মধু মিশিয়ে খাওয়া ভালো নাকি ক্ষতিকর? জেনে নিন

১৬

যে কারণে হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করতে হয়েছিল ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের নায়িকার

১৭

আইনজীবী আলিফ হত্যা : দুই আসামির বিরুদ্ধে ক্রোকি পরোয়ানা জারি

১৮

হবিগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থিতায় চমক, নয়া প্রার্থী অলিউল্লাহ নোমান

১৯

জীবনসঙ্গীকে অযথা সন্দেহ? হতে পারে ওথেলো সিনড্রোম

২০
X