ইন্দোনেশিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ সামরিক গোলাবারুদ ধ্বংসের সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১২ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ক্রিস্টোমেই সিয়ান্তুরি বলেন, ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় মেয়াদোত্তীর্ণ মিলিটারি গোলাবারুদ ধ্বংসের সময় ঘটে যাওয়া এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৯ সাধারণ মানুষ এবং ৪ সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণটি ঘটে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা গোলাবারুদ ধ্বংস কার্যক্রম শেষের পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন। বিস্ফোরণের সময় ধ্বংসস্থান সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল কি না এবং কীভাবে সাধারণ মানুষ সেখানে এতটা কাছে চলে আসতে পেরেছিল, তা নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সামরিক কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বসাধারণের কাছে যে অংশগুলো আতশবাজি নিষ্কাশনের পর ফাঁকা হয়ে যায়, সেখান থেকেই স্ক্র্যাপ সংগ্রহ করতে স্থানীয়রা এসে জমায়েত হতেন। মুখপাত্র ক্রিস্টোমেই সিয়ান্তুরি জানান, প্রথাগতভাবে আমরা নিয়মিত সেখানে গোলাবারুদ ডিটোনেট করি, কিন্তু আজকের ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে খামতি ছিল, তাও তদন্তের অংশ হবে।
ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় সামরিক মুখপাত্র বাহিউ ইউদায়ানা টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সব দিক খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে- কারণ কীভাবে এতগুলো সাধারণ নাগরিককে বিস্ফোরণক্ষেত্রে যেতে দেওয়া হলো এবং বিস্ফোরণের সঠিক কারণ কি। প্রয়োজনে নিরাপত্তা নির্দেশিকা আরও কঠোর করা হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে ধ্বংসকৃত স্থানটি পরবর্তী সম্ভাব্য বিস্ফোরণ রোধে সম্পূর্ণভাবে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘিরে ফেলা হয়েছে।
গত এক বছরে দ্বিতীয়বারের মতো এমন দুর্ঘটনা ঘটল। গত মার্চে জাকার্তা সংলগ্ন এক সামরিক গোলাবারুদ গুদামে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষের সিরিজ ঘটেছিল, যেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়। সেই ঘটনার পর নিরাপত্তা দুর্বলতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন