আফগানিস্তানে প্রায়ই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দেশটির অবস্থান ফল্ট লাইনে হওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে। যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট এসে মিশেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২২ সালে পূর্বাঞ্চলীয় আফগানিস্তানে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও ৩ হাজার জন। যা ছিল গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনা।
যদিও ২০২২ সালের ভূমিকম্পটি মাত্রার দিক দিয়ে ততটা শক্তিশালী ছিল না; কিন্তু ভয়াবহতার দিক থেকে অনেক শক্তিশালী ছিল। কারণ ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে রোববার (৩১ আগস্ট) আঘাত হানা ভূমিকম্পটির চিত্র একই ধরনের ছিল। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। ফলে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চলে যে ধরনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে—বিশেষ করে যে কাঠ, মাটির ইট এবং দুর্বল পাথর ব্যবহার করে তা ভূমিকম্প সহনীয় নয়। ফলে ভূমিকম্পের আঘাতে এসব স্থাপনা ভেঙে স্থানীয়দের মৃত্যুর শঙ্কা বহুগুণে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
আফগানিস্তানের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিকম্পের আঘাতে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে ভূমিধসের কারণে অনেক বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়াসহ নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ভূমিধসের ফলে রাস্তাঘাট বন্ধ হওয়ার ফলে উদ্ধার কর্মীদের দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন