নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় সুশীলা কার্কিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি এই শুভেচ্ছা জানান। এতে তিনি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং ব্যক্তিগতভাবেও নেপালের প্রতি গভীর শুভকামনা প্রকাশ করেন।
অভিনন্দন বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, নেপালের জনগণ আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে যে আস্থা ও বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন, তা নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, আপনার নেতৃত্বে নেপাল শান্তি, উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, নেপালের জনগণের দৃঢ়চেতা মনোভাব ও সংগ্রামী চেতনা সবসময়ই অনুকরণীয়, আর সেই শক্তিকে সঙ্গে নিয়েই দেশটি আরও অগ্রগতি অর্জন করবে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বার্তায় বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণ বহুদিন ধরে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ভৌগোলিকভাবে প্রতিবেশী এবং সাংস্কৃতিকভাবে ঘনিষ্ঠ এই দুই দেশ জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক বাণিজ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করছে। সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে এই সহযোগিতা আরও প্রসারিত হবে বলে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
ড. ইউনূস সাম্প্রতিক সময়ে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনাতেও গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পথে নেপালের জনগণ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অভিনন্দন বার্তার শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ আশা করে আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নেপাল কেবল আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা অর্জন করবে না, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করবে। তিনি সুশীলা কার্কির ব্যক্তিগত সুস্বাস্থ্য ও সফলতা কামনা করার পাশাপাশি নেপালের জনগণের জন্য শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মন্তব্য করুন