নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হয়েছেন সুশীলা কার্কি। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির ব্যাপারে সবার সম্মতি মেলে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) নেপালের প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ স্থানীয় সময় রাত ৯টায় তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। এর মাধ্যমে দেশটিতে সরকার শূন্যতা দূর হতে যাচ্ছে। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সুশীলা কার্কি দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তরুণদের একটি অংশ তার নাম প্রস্তাব করে।
এএফপি জানায়, টানা সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। ২০০৮ সালের মাওবাদী যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকট ও তরুণদের বেকারত্বই এই সংকটের মূল কারণ। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, নেপালে ১৫-২৪ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজনের একজন বেকার, আর মাথাপিছু আয় মাত্র ১,৪৪৭ ডলার।
যুব আন্দোলনের নেতারা বলছেন, তারা একটি ‘নতুন নেপাল’ গড়তে চান। ২৪ বছর বয়সী আন্দোলনকারী জেমস কার্কি বলেন, আমরা পরিবর্তনের জন্য লড়ছি। আশা করি সেনাবাহিনী আমাদের কথা শুনবে।
মন্তব্য করুন