ডাকাতি করতে এসে দোকানের মালিকের হাতে কামড় বসিয়ে দেয় এক ডাকাত। তুরস্কের একটি দোকানে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। হাতে কামড় খাওয়ার পর দোকানের মালিক বৃদ্ধ ব্যক্তি শুরুতে তা আমলে নেয়নি। বিষয়টি তিনি এক প্রকার ভুলেই ছিলেন। পরে দেখা দেয় বিপত্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাস পর বৃদ্ধের কামড়ের স্থানটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। হাত ফুলে ঢোল হয়ে যায়। ফলে তিনি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। জানতে পারেন, কামড়ের ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ায় তার হাতে পচন ধরেছে। এ অবস্থায় তারা হাতটি কেটে ফেলারও নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা।
যদিও ঘটনাটি এক বছর আগের। তবুও বিষয়টি সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি কাড়ে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি পত্রিকায় ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক লেখালিখি হয়। বলা হয়, চুরির উদ্দেশ্যে দুই ব্যক্তি দোকানে প্রবেশ করে। মালিক তাদের মুখোমুখি হলে হাতাহাতি শুরু হয়। পালানোর সময় এক ডাকাত ওই বৃদ্ধের হাতে এত জোরে কামড় দেয় যে একটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আঘাতটিকে সামান্য বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বৃদ্ধ দোকানিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময়ে সুস্থ বলে মনে হলেও তিন মাস পর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
প্রচণ্ড জ্বর, কাঁপুনি এবং হাতে ব্যথা শুরু হয়। ত্বকের রংও বদলে যায়। চিকিৎসকরা জানান, কামড় থেকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথাগত চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় চিকিৎসকরা বিশেষ অক্সিজেন থেরাপি ব্যবহার করে তার হাতটিকে অক্ষত রাখেন। এ ছাড়াও তিন মাস ধরে ফিজিওথেরাপি করার পর হাতটি সচল হয় বৃদ্ধের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু কুকুর বা বিড়াল নয়, মানুষের কামড়ের ফলে এ ধরনের মারাত্মক প্রাণঘাতী সংক্রমণ হতে পারে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া সরাসরি রক্তে ঢুকে যায়। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। এতে পরবর্তী সময় গুরুতর জটিলতা দেখা দিতে পারে।
মন্তব্য করুন