বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো চীন সফরে যাচ্ছেন। রোববার ও সোমবার এই দুদিন তিনি চীন সফর করবেন। রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেল্টার বরাতে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত লুকাশেঙ্কো। গত জুনের শেষ দিকে রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার বিদ্রোহ করে রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিল। পরে লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ওই বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন ওয়াগনারপ্রধান।
বেলারুশিয়ান রাষ্ট্রপ্রধানের প্রেস সার্ভিস বলেছে, বেইজিংয়ে লুকাশেঙ্কো ও চীনের প্রেসিডন্টে শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা হবে। তাদের আলোচ্যসূচিতে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো বিষয় থাকবে।
এর আগে শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে গত অক্টোবরে চীন সফর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই) ইনিশিয়েটিভ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি ওই সম্মেলন করেন।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পুতিনের প্রথম বিদেশ সফরের মধ্যে একটি চীন। এর আগে অক্টোবরের শুরুতে মধ্য এশিয়ার দেশ কিরগিজস্তান সফর করেছিলেন পুতিন।
চলতি বছরের মার্চে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এর ফলে আইসিসির সদস্য দেশে গেলে পুতিন গ্রেপ্তার হতে পারেন। আইসিসির এমন পদক্ষেপের পর দেশের বাইরে তেমন পা রাখেননি তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর পর থেকে পশ্চিমাদের সমালোচনা সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে বেইজিং। চীন বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তারা আন্তর্জাতিক আইনকানুন লঙ্ঘন করেনি। কেননা যে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অধিকার তাদের আছে। এমনকি ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
মন্তব্য করুন