কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্পেনের সামান্য এক পদক্ষেপেই ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। ছবি : সংগৃহীত
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। ছবি : সংগৃহীত

হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা সামরিক শক্তিধর দুই দেশকে একসঙ্গে চটিয়ে তুলেছে স্পেন। দেশটির সামান্য এক পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যে পরম মিত্র ইসরায়েল। এ জন্য স্পেনকে হুমকিও দিয়েছে ওয়াশিংটন। মনে করা হচ্ছে, ওয়াশিংটনের পাল্টা পদক্ষেপে বিপদে পড়তে পারে স্পেন।

এক সময় মুসলিম শাসনের স্বর্ণযুগ রচিত হয়েছে এই স্পেনেই। সেই স্পেন এবার ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় সোচ্চার হয়েছে। গত মে মাসে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেও স্বীকৃতি দেয় দেশটি। তবে এবার এমন এক পদক্ষেপ নিয়েছে স্পেন, তাতে আর মাথা ঠান্ডা থাকেনি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কারোরই। বলা হচ্ছে, অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলগামী জাহাজকে নিজেদের বন্দরে ভিড়তেই দেয়নি স্পেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামুদ্রিক কমিশন বলছে, এ ধরনের তিনটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনার শিকার জাহাজগুলোর মধ্যে দুটি মার্কিন পতাকাবাহী ছিল। বৃহস্পতিবার ফেডারেল রেজিস্ট্রারে একটি নোটিশ বলা হয়, কমিশন উদ্বিগ্ন যে কিছু জাহাজে প্রবেশে বাধা দেওয়ার এই আপাত নীতি বৈদেশিক বাণিজ্যে শিপিংয়ের জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে।

এখন অভিযোগ প্রমাণিত হলে শত শত কোটি টাকার জরিমানা হতে পারে স্পেনের। জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সমুদ্রযাত্রাপ্রতি সর্বোচ্চ ২৩ লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে। এ ছাড়া স্পেনের জাহাজকেও মার্কিন বন্দরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হতে পারে। ওই জাহাজগুলো স্পেনের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার খবর গেল ১৯ নভেম্বর জানতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামুদ্রিক কমিশন।

একই মাসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই জাহাজে অস্ত্র থাকার কথা অস্বীকার করে শিপিং প্রতিষ্ঠান মায়েরস্ক। এর আগে গেল মে মাসে আরেকটি জাহাজ নিজেদের বন্দরে ভিড়তে দেয়নি স্পেন। এ নিয়ে স্পেনের কর্তৃপক্ষ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে গেল মে মাসে ডেনমার্কের পতাকাবাহী একটি জাহাজ নিজেদের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন স্পেনের পরিবহনমন্ত্রী অস্কার পুয়েন্তে।

স্পেনের পরিবহনমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, ওই জাহাজ করেও ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে কোনো অস্ত্র যাওয়ার পেছনে আমরা আর কোনো ভূমিকা রাখতে চাই না। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি দরকার। এ কারণেই ইসরায়েলে অস্ত্র বহনকারী যে কোনও নৌযান, যেগুলো স্পেনের বন্দরে ভিড়তে চায়, সেগুলোকে প্রত্যাখ্যানের জন্য একটি নীতি চালু করা হবে।

মিশর ও তুরস্কের মতো মুসলিম দেশগুলো এখনও ইসরায়েলি জাহাজ বা ইসরায়েলগামী অন্য দেশের অস্ত্রবাহী জাহাজকে নিজ নিজ বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছে। এ নিয়ে দেশগুলোর জনগণের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও তা আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মুসলিম প্রধান দেশ না হয়েও স্পেনের এমন জোরালো পদক্ষেপ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য বড় ধাক্কা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘বিগ বস ১৯’ জিতে কত টাকা পেলেন গৌরব!

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, তিতুমীরের সেই শিক্ষার্থী রিমান্ডে

জাতীয় নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলা

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে থাইল্যান্ডের বিমান হামলা

৮ দিন ধরে নিখোঁজ হাফেজ সিফাত

কবে বিয়ে করছেন কেয়া? জানালেন নিজেই

ঢাকায় ৭ম আই-ইইই এসসিআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার

মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিয়েছে : ড. মোবারক

১০

দুপুরে নামাজের নিষিদ্ধ সময় কি ঠিক ১২টা?

১১

ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু ৩ দিনের রিমান্ডে

১২

৫ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, অতঃপর...

১৩

কলাপাতায় মোড়ানো মরদেহ, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৪

আমাকে একা রেখে চলে গেলে : হেমা

১৫

প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক

১৬

কাজ থাকলে মৌসুমী-মাহিরা দেশ ছাড়ত না : মিশা সওদাগর

১৭

সব অপরাধ বন্ধের ম্যাজিক আমার কাছে নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮

তপশিল : রেকর্ডের জন্য বিটিভি-বেতারকে আহ্বান ১০ ডিসেম্বর

১৯

মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় খালেদা জিয়া সুস্থ হবেন, প্রত্যাশা ফারুকের

২০
X