গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের আশপাশসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। শনিবার (২৭ জুলাই) দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছ থেকে জরুরি সহায়তা চেয়েছে। খবর শাফাক নিউজের।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৫২টি দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে ৪৪টি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস। তবে প্রচণ্ড তাপদাহ এবং প্রবল বাতাস দাবানল নিয়ন্ত্রণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এথেন্সের আশপাশের অ্যাটিকা অঞ্চল ও পেলোপনিস উপদ্বীপে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহভাবে।
গ্রিসের ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র ভাসিলিওস ভাথ্রাকোগিয়ানিস জানিয়েছেন, আগুনের মুখে কয়েকটি আবাসিক এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বেশ কিছু ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
দাবানলের সময় চলছে গ্রিসের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। শুক্রবার মেসিনিয়ায় তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। শনিবার পশ্চিম গ্রিসের আমফিলোহিয়ায় ৪৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এই দাবানল নতুন নয়। গত মাসেও উত্তর এজিয়ান দ্বীপ চিওসে দাবানলে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর বনভূমি পুড়ে যায়। জুলাইয়ের শুরুর দিকে ক্রিট দ্বীপে দাবানলের কারণে ৫ হাজার পর্যটককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
পরিস্থিতি ক্রমেই গুরুতর হচ্ছে। ২০২৩ সালে গ্রিসে রেকর্ড পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে যায় এবং অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়। প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার হেক্টর জমি দাবানলে পুড়ে গিয়েছিল বলে জানায় সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর।
মন্তব্য করুন