কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি?

যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি?

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি লাল ফাইল জমা দেন। এ ফাইল ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

কেউ কেউ বলছেন, এই ফাইল দুটি কি যুদ্ধের অনুমতি ও ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত? আর যদি যুদ্ধের অনুমতি চাওয়ার ফাইলই হয় তবে কি নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি? তিনি কি সত্যিই যুদ্ধের অনুমতি দিয়েছেন?

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় সংসদে একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি লাল ফাইল পেশ করছেন।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা ওই লাল ফাইল নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। সুশান্ত হালদার নামের এক ব্যবহারকারী লিখেন, অতি জরুরি সময়ে এই ফাইল নিশ্চয়ই কোন চুক্তি বা ব্যবসায়িক ফাইল নয়। কিন্তু কী আছে ওই লাল ফাইলে?

তিনি উল্লেখ করেন, আমার জানা তথ্য মতে, একটা ফাইল যুদ্ধ শুরুর এবং আরেকটি ফাইল অতি বিরূপ পরিস্থিতিতে দেশের সর্বশেষ শক্তি ব্যবহারের গ্রিন সিগনালের ফাইল।

এদিকে কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সুফি পরিষদ। অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানাশিন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরউদ্দিন চিশতী বলেন, পাকিস্তান নিজেকে ইসলামী দেশ বলে দাবি করে, কিন্তু প্রতিবেশী দেশের প্রতি কী দায়িত্ব থাকা উচিত, তা বোঝা উচিত তাদের। ইসলামে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার কোনো স্থান নেই।

তিনি বলেন, ভারত সরকার ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছে কারা এই হামলার পিছনে রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি সবাই জানে। পাকিস্তান যতই পিছু হটে, ভারত তাদের শাস্তি দেবে।

এই ঘটনার পর কংগ্রেসের মুখপাত্র কেসি বেনুগোপাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পহেলগাম একটি উচ্চ নিরাপত্তা বেষ্টিত অঞ্চল। এখানে তিনস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এমন ভয়াবহ হামলা কীভাবে সম্ভব হলো, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া জরুরি।

তিনি আরও বলেন, এই এলাকা সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। জনগণের স্বার্থেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর হামলা
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাসিনার গুলিকে যারা ভয় পায়নি, তারা আর কাউকে ভয় পাবে না : হান্নান

হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিকে গ্রেপ্তার

সড়কে প্রাণ গেল সাবেক এমপিপুত্রের

নতুন চুল গজানোর জন্য চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কখন? 

ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাখন, সম্পাদক লিটন

আজ থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি শুরু

মাঠে নামছে ভারত-পাকিস্তান, খেলা দেখবেন যেভাবে

আ.লীগের হাতে অনেক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে : খোকন

অভিজ্ঞতা ছাড়াই চাকরি দিচ্ছে এসিআই পিএলসি

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাবু তেঁতুলিয়ার মানুষ

১০

বুদ্ধিজীবীদের যে সম্মান দিয়েছে ইসলাম

১১

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে : জবি উপাচার্য 

১২

রোববার যেসব এলাকায় টানা ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

১৩

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১৪

প্রকৃতি মাতানো অনিন্দ্যসুন্দর প্রজাপতি ধুলকাপাস

১৫

শান্তি মিশনে ৬ বাংলাদেশি নিহত, জাতিসংঘ মহাসচিবের কঠোর বার্তা

১৬

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৭

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

১৮

পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত

১৯

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২০
X