কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

লেবাননে ঝাঁকে ঝাঁকে সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে ইসরায়েল ও লেবানন। ঠিক এমন সময়ে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক ঝাঁক যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ব্রিটেন। যুক্তরাজ্যের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকাণ্ডে নজর রাখা ওয়েবসাইট ডিক্লাসিফায়েড ইউকে এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে।

ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় বোমা হামলা শুরুর পর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ৮০টির বেশি সামরিক পরিবহন বিমান পাঠিয়েছে ব্রিটেন।

সবগুলো বিমানই সাইপ্রাস থেকে উড়ে গেছে। কয়েক সপ্তাহ আগে এই সাইপ্রাস ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি। ইসরায়েল বলেছিল, তারা সাইপ্রাস থেকে লেবাননে হামলা চালাবে। এরপর সাইপ্রাসে হামলার হুমকি দিয়েছিল লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা।

সাইপ্রাসের আকরোতিরিতে ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি বৈরুত থেকে মাত্র ১৫০ মাইল দূরে, উড়ে যেতে লাগে ৪৫ মিনিট। গেল অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই লেবাননে সামরিক বিমান পাঠানো শুরু করে ব্রিটেন।

গেল এপ্রিলেই বৈরুতে ২৫টি যুদ্ধবিমান পাঠায় দেশটি। মে মাসেও একই পরিমাণ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ব্রিটেন। জুন মাসেও অন্তত ১৪টি যুদ্ধবিমান পাঠানোর খবর দিয়েছে ডিক্লাসিফায়েড ইউকে। সব মিলিয়ে গেল অক্টোবর থেকে ৮৪টি যুদ্ধবিমান বৈরুতে পাঠিয়েছে ব্রিটেন।

ব্রিটেনের যুদ্ধবিমান হঠাৎ করে লেবাননে পাঠানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। একটি প্রতিরক্ষা সূত্র ডিক্লাসিফায়েডকে জানিয়েছে, সিনিয়র মিলিটারি এনজেগমেন্টকে সুবিধা দেওয়াই প্রাথমিকভাবে এসব বিমান পাঠানোর উদ্দেশ্য। যদিও ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তা দেওয়া ও দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে যুদ্ধবিমান পাঠানো নিয়ে ব্রিটেন অতিরিক্ত গোপনীয়তা দেখাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগে ব্রিটিশ রয়েল এয়ারফোর্সের দুটি বিমান ইসরায়েলে অবতরণ করে। লেবাননের উড়ে যাওয়া ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর প্রায় সব বিমানই ভয়েজার কেসি মার্ক ২।

এই সিরিজের বিমানগুলো ৪৫ টন পর্যন্ত সরঞ্জাম ও ২৯১ জন সেনা কর্মকর্তা বহনে সক্ষম। এগুলো আবার এয়ার টু এয়ার রিফুয়েলিংয়েও ব্যবহার করা হয়। এই তালিকায় সি-17 কার্গো বিমানও রয়েছে।

১৯৬০ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেলেও সাইপ্রাসে যুক্তরাজ্যের দুটি সার্বভৌম ঘাঁটি রয়েছে। এই দুটি ঘাঁটি ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্যের হাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর আগে উইকিলিকস জানিয়েছিল, আকরোতিরি ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে যুক্তরাষ্ট্রের ইউ-2 গোয়েন্দা বিমান লেবাননে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে। অক্টোবর থেকে একই ধরনের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে ব্রিটিশ বিমানবাহিনীকে।

সাইপ্রাসের আকরোতিরি থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের চার মাস আগে যুক্তরাজ্যের মাত্র একটি ফ্লাইট গিয়েছিল। পরবর্তী কয়েক মাসে লেবাননে মাত্র ৫টি ফ্লাইট অবরতণ করে। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চোখে পড়ার মতো হারে যুদ্ধবিমান বিমান পাঠাতে শুরু করে ব্রিটেন।

এখন পর্যন্ত যতগুলো ফ্লাইট পাঠানো হয়েছে, তাতে ২৩ হাজারের বেশি ব্রিটিশ সেনা লেবাননে পাঠানো সম্ভব। আর তাই ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্যের গোপন অভিসন্ধি নিয়ে বাড়ছে সন্দেহ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলন ঠেকাতে ‘মব সৃষ্টির’ পরিকল্পনা ঢাকা কলেজ শিক্ষকের

আগামী ৫ দিন তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

বিশেষ বৃত্তিসহ ৪ দফা দাবি জবি শিবিরের

হাসপাতালে নচিকেতা চক্রবর্তী

জামায়াতে ইসলামী হিন্দু শাখার ৯ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

মালয়েশিয়ায় আটক ৮৪৩, আছে বাংলাদেশিও

২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে কখন

স্ত্রীর হাতে স্বর্ণের চুড়ি, সন্দেহের জেরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে স্বামী

নতুন জোট গড়ছে ৩ দল, ঘোষণা বিকেলে

এই ৩ পানীয় খেলেই ত্বকে দ্রুত পড়বে বার্ধক্যের ছাপ

১০

কবরস্থান থেকে ৬ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

১১

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ভালো উন্নতি হয়েছে: সালাহউদ্দিন

১২

ল্যাপটপের ৫ গোপন ফিচার, যেগুলো এখনই ব্যবহার করা উচিত

১৩

চকলেট রঙে আবেদনময়ী মন্দিরা

১৪

আইপিএল, বিগ ব্যাশ, পিএসএল মাতানো ক্রিকেটার এবার নোয়াখালীতে

১৫

দুই পা কেটে কৃষককে হত্যা

১৬

ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ

১৭

শাহবাগ অবরোধ ৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের

১৮

গাজায় বাস্তবে এখনো যুদ্ধবিরতি হয়নি : কাতারের প্রধানমন্ত্রী

১৯

আগারগাঁওয়ে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ

২০
X