কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে মুখ খুলল ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। কাতারের দোহায় গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত খসড়া হামাস ও ইসরায়েলের হাতের পৌঁছানোর পর এ বক্তব্য প্রদান করেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জিম্মিদের মুক্তি প্রসঙ্গ

এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের বেশিরভাগই জীবিত। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজনের মরদেহও ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে এখনো ৯৪ জন বন্দি রয়েছেন, আর এদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির উদ্দেশ্য এবং প্রস্তুতি

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে তারা বেশ আশাবাদী। চুক্তি অনুযায়ী, উত্তর গাজার বাসিন্দারা তাদের এলাকায় ফিরে যেতে পারবেন। তবে ইসরায়েল যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে বলে জানানো হয়েছে।

চুক্তির শর্তাবলী

ইসরায়েলি সেনারা মিশর-গাজা সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডরে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। ইসরায়েল গাজা ‍উপত্যকার মধ্যে একটি বাফার জোন তৈরি করবে। ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা নির্দোষ ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাদের গাজা বা অন্য কোনো দেশে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

চুক্তির সম্ভাবনা এবং বাধা

দোহায় চুক্তির বিষয়ে চলমান আলোচনা খুব শিগগিরই চূড়ান্ত হতে পারে। তবে চুক্তি বাস্তবায়নের আগে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্যাবিনেট ও সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। আরব কর্মকর্তারাও আশাবাদী যে উভয় পক্ষের সম্মতিতে শিগগিরই চুক্তি সম্পন্ন হবে।

৭ অক্টোবরের হামলা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি

৭ অক্টোবরের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। সেই থেকে গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলা চলছে। এখন পর্যন্ত এই হামলায় ৪৬ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখেরও বেশি মানুষ।

এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যা

নির্বাচনের তপশিল নিয়ে সভা রোববার

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হলেন ১২০ চিকিৎসক

ছেলেকে দেখার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই চলে গেলেন গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার বাবা

পূজা পরিষদ ও পূজা কমিটির মতবিনিময় / সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় নির্বাচনের আগে-পরে এক মাস সেনা মোতায়েনসহ ৯ দাবি

‘এনসিপি সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব’

নিজ ফ্ল্যাটেই মিলল নিখোঁজ স্কুল শিক্ষিকার লাশ

শিক্ষক সমাজই হচ্ছে একটি জাতির ভিত্তি : মান্নান

কোন দেশের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান গার্দিওলা?

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, জাবি শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

১০

কড়াইলের দুর্গতদের পাশে আনসার-ভিডিপির ৯ দিনের মানবিক সেবা কার্যক্রম সমাপ্ত

১১

স্টার্কের দাপটে ব্রিসবেনে হারের পথে ইংল্যান্ড

১২

নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ‘রোকেয়া রান’ অনুষ্ঠিত

১৩

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৪

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

১৫

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

১৬

বাংলাদেশে আর কারও দাদাগিরি চলবে না : ডা. শফিকুর রহমান

১৭

যেভাবে এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো ভারতীয় রুপি

১৮

আইপিএল নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদ

১৯

রাত জাগার অভ্যাসে অজান্তেই যে ক্ষতি করছে, বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তা

২০
X