গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর সময় জানিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে কাতার। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারির এক্স-এ একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চুক্তির পক্ষগুলো এবং মধ্যস্থতাকারীদের সমন্বয় অনুসারে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি শুরুর সময় নির্ধারিত হয়েছে। গাজার স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সরকারি সূত্র থেকে নির্দেশনার অপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি।
এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিয়েছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রেসিডেন্সি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আব্বাসের নির্দেশে ফিলিস্তিনি সরকার গাজার পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে থাকবে বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন, মৌলিক পরিসেবা প্রদান, ক্রসিং ব্যবস্থাপনা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের পুনর্গঠন।
আলজাজিরার শনিবারের (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে আব্বাস সরকার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
২০০৭ সাল থেকে গাজা হামাসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপরদিকে ফাতাহ আন্দোলনের আধিপত্যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীর শাসন করে। অবশ্য অঞ্চলটি ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে এবং তারা প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।
বর্তমানে, যুদ্ধোত্তর গাজার শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে ইসরায়েলের কোনো নির্দিষ্ট অবস্থান নেই। উপত্যকাটিতে হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ উভয়ের ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করা ছাড়াই চুক্তিটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ইসরায়েল।
মন্তব্য করুন