কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিরিয়া সরকারের পাশে যুক্তরাজ্যসহ শক্তিশালী ২০ দেশ

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আন্দোলন। ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আন্দোলন। ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এরপর দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। নতুন প্রশাসনের পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিশালী ২০ দেশ।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বৃহস্পতিবার ‘সিরিয়াবিষয়ক প্যারিস সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আরব দেশগুলোর পাশাপাশি তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা ও জাপানসহ প্রায় ২০ দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা ‘সিরিয়ার পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সাফল্য নিশ্চিতে’ একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

সম্মেলনে একটি চূড়ান্ত বিবৃতি দিয়েছে দেশগুলো। এ সময় তারা সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।

সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের শাসন শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালে বাশারের বাবা, হাফিজ আল আসাদের হাত ধরে। প্রায় তিন দশক তিনি প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। ২০০০ সালে তার মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন বাশার আল আসাদ। তার শাসনামলে দেশে আধুনিকীকরণের কিছু প্রচেষ্টা দেখা গেলেও তা শিগগিরই দমনপীড়ন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনে রূপ নেয়।

২০১১ সালে আরব বসন্তের ঢেউ সিরিয়ায় পৌঁছালে বাশারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদ শুরু হয়। শুরুতে তরুণদের বিক্ষোভ হিসেবে যাত্রা শুরু করা আন্দোলন ধীরে ধীরে রূপ নেয় পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে।

বিদ্রোহীদের ঘোষণা বাশার সরকারের পতনের পর বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে জানায়, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, এক নতুন যুগের সূচনা হলো। বাথিস্ট শাসনের অধীনে ৫০ বছরের নিপীড়নের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নতুন শাসনব্যবস্থা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। তারা সকল নাগরিকের মর্যাদা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছে।

বাশার আল আসাদের পতনের খবরে দামেস্কসহ বিভিন্ন শহরে জনগণের উদযাপন শুরু হয়। রাস্তায় রাস্তায় তারা বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করে। বিদ্রোহীদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা আসাদের শাসনের অবসান ঘটিয়ে সিরিয়ার ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ শেষে সিরিয়া এখন শান্তির নতুন স্বপ্ন দেখছে। তবে দেশটির পুনর্গঠন এবং নতুন শাসনব্যবস্থার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

১০

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

১১

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

১২

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

১৩

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১৪

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১৫

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৬

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৭

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

১৮

এবার জুবিনের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বিধানসভা

১৯

‘সুখবর’ পেলেন বিএনপির আরেক নেত্রী

২০
X