কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫১ এএম
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাজায় আরও ভূমি দখলে ইসরায়েল, বাড়ছে আগ্রাসন

ইতোমধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা ও খান ইউনিসের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। ছবি : সংগৃহীত
ইতোমধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা ও খান ইউনিসের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় বুধবার (২ এপ্রিল) ইসরায়েলি সেনারা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ব্যাপকভাবে জনগণকে সরিয়ে দিয়ে কিছু এলাকাকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা অঞ্চলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিষয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, যেসব স্থানে লড়াই চলছিল, সেখান থেকে জনগণকে সরিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য গাজা থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নির্মূল করা এবং নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু এলাকা দখলে নেওয়া।

ইসরায়েল ইতোমধ্যে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা ও খান ইউনিসের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসিরে আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কাটজ গাজাবাসীদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা হামাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন এবং জিম্মিদের মুক্তিতে সহায়তা করুন। এটাই যুদ্ধ শেষ করার একমাত্র উপায়।

এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, হামাসকে নিষ্ক্রিয় করা ও জিম্মিদের ফেরানোর একমাত্র পথ সামরিক অভিযান। তবে ইসরায়েলি বাহিনী ঠিক কতটুকু ভূখণ্ড দখলে নেবে এবং এটি স্থায়ী হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠন গিশা জানিয়েছে, গাজায় ৬২ বর্গকিলোমিটার এলাকা ইতোমধ্যে দখল করেছে সেনাবাহিনী, যা উপত্যকার মোট আয়তনের ১৭ শতাংশ। এতে গাজার গুরুত্বপূর্ণ পানি, পয়োনিষ্কাশন ও কৃষি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন করে তুলবে।

এদিকে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের যুদ্ধ শুরুর পর এবারই প্রথম এত দীর্ঘ সময় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রশাসন দাবি করছে, গাজায় পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রয়েছে, নতুন করে ত্রাণের প্রয়োজন নেই। তবে জাতিসংঘ এ দাবিকে "হাস্যকর" বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সতর্ক করেছে, গাজায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

একদিকে ত্রাণ বন্ধ, অন্যদিকে বোমা হামলা—এই পরিস্থিতিতে গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, বুধবার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জন জিম্মি হয়েছিল। তবে ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং পুরো উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এইচএসসির তৃতীয় দিনে অনুপস্থিত ২৪৮৯১ জন 

ক্ষমতাকেন্দ্রিক নয়, সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি

ব্রিটিশদের নাকানিচুবানি দিতে ১০ বছর ধরে যে রণকৌশলে এগোচ্ছে ইরান

বাসযাত্রীর ব্যাগে মিলল বিপুল ইয়াবা, অতঃপর...

কুয়েট ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির জন্য ৬৮ অধ্যাপকের আবেদন

ইতিহাস গড়ল চট্টগ্রাম বন্দর, কনটেইনার পরিবহনে রেকর্ড

৭০০ টাকার ব্রডব্যান্ড ৫০০ টাকায় দেওয়ার নির্দেশনা আইএসপিএবির

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে রূপসা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ 

অসচ্ছল নারী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ঢাবি

ক্ষোভের মুখে সরানো হলো বিএনপির অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এহসানকে

১০

নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সরাসরি পরিচালনা করবে ডিএনসিসি

১১

সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের ওপর নারকীয় হামলার প্রতিবাদ, থানায় মামলা

১২

কুষ্টিয়ায় কাফনের কাপড় জড়িয়ে বিএনপির কার্যালয় ঘেরাও

১৩

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যে জুলকারনাইনের প্রতিক্রিয়া

১৪

দুই দশক পর কারামুক্তি, সঙ্গে লাখ টাকা সঞ্চয় দুই নারীর

১৫

এবার ইরাকের বিমানবন্দরে রকেট হামলা

১৬

মায়ের কোল ফিরে পেল ৬০ হাজারে বিক্রি হওয়া শিশুটি

১৭

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র

১৮

ট্রাম্পকে বিদায় করতে আয়োজন করে নামছেন মাস্ক!

১৯

এডাস্ট এসডিআই ও সোল গেটওয়ে করপোরেশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

২০
X