কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অবরুদ্ধ গাজায় একবেলার খাবার থেকেও বঞ্চিত শিশুরা

ইসরায়েলের রাজনৈতিক নির্ধারিত ও পরিকল্পিত অবরোধে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিন জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের রাজনৈতিক নির্ধারিত ও পরিকল্পিত অবরোধে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিন জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিন ধরে চলা ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ও সাম্প্রতিক সম্পূর্ণ অবরোধের ফলে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেখানে শিশুদের একবেলার খাবারও জুটছে না বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় কাজ করা ১২টি প্রধান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার নেতারা জানান, গাজার মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। খবর আল-জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুরা দিনে একবেলারও কম খাবার পাচ্ছে। কেবল টিনজাত খাবার খেয়ে বেঁচে আছে তারা। অপুষ্টি ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে- বলছেন অক্সফামের নীতিনির্ধারণী প্রধান বুশরা খালিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় চলমান ভয়াবহ ও নির্বিচার বোমাবর্ষণের কারণে সহায়তা পৌঁছানোও হয়ে উঠেছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে সেখানে কাজ করা ৪৩টি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সংস্থার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশই কার্যক্রম স্থগিত অথবা সীমিত করে ফেলেছে।

ডক্টর্স উইদআউট বর্ডারস-এর গাজা অঞ্চলের জরুরি সমন্বয়কারী আমান্ডে বাজরোল বলেন, আমরা মানুষকে কষ্ট পেয়ে মারা যেতে দেখছি- যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অথচ আমাদের হাতে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ, খাদ্য কিংবা চিকিৎসাসামগ্রী।

তিনি আরও বলেন,এটা শুধুই মানবিক বিপর্যয় নয়, এটা রাজনৈতিকভাবে নির্ধারিত ও পরিকল্পিত অবরোধ, যা একটি জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানান, গাজা শহরে শিশুখাদ্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের তীব্র ঘাটতির কারণে বহু শিশু ও নবজাতক অপুষ্টিতে ভুগছে। অনেকে চিকিৎসা বা খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছে।

আল-আকসা হাসপাতালের সামনে সন্তান হারানো ফাদি আহমেদ জানান, আমার ছেলের ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল, শরীরে ছিল মারাত্মক অপুষ্টি। সপ্তাহখানেক হাসপাতালে থাকার পর সে মারা যায়।

এক দাদি ইনতিসার হামদান জানান, আমার নাতি তিন দিন ধরে এক ফোঁটা দুধ পায়নি। শেষে ক্ষুধায় মারা গেল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে উপত্যকায় ৬০ হাজারেরও বেশি শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। এছাড়া, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০০ জনেরও বেশি সহায়তা কর্মী এবং ১,৩০০ জনের বেশি চিকিৎসাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন সাংবাদিক সম্পদ

দুর্নীতিবাজদের বর্জন করুন, জনগণের ভরসা হতে চাই : শাকিল উজ্জামান

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

টাকা বাঁচাতে লেভানদোভস্কিকে গোল করতে মানা করেছিল বার্সা!

মুক্তিযুদ্ধকে বিএনপির মতো অন্য কোনো দল ধারণ করে না: শামা ওবায়েদ

মুশফিকের শততম টেস্টে হামজার বিশেষ বার্তা

ভারতকে হারিয়ে ফিফা থেকে সুখবর পেল বাংলাদেশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের কবলে বিচারক, খোয়ালেন মোবাইল-চশমা

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ছোট কাজে বড় অনিয়ম

লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল / ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধা পাবে দুই বিদেশি কোম্পানি

১০

রামপুরায় বাসে আগুন

১১

যুবদলের পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

১২

আসামি ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনিতে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

১৩

এবার ‘রাজসাক্ষী’ হয়ে আরেক পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি

১৪

দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ৮ নেতাকর্মী কারাগারে

১৫

নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে নৌবহর কর্মসূচি

১৬

সময় টিভির চেয়ারম্যান মোরশেদুল ইসলামের পদত্যাগ

১৭

ইতালি নেওয়ার লোভ দেখিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

১৮

জানা গেল বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ

১৯

রোজা শুরু হতে আর কত দিন বাকি? জেনে নিন

২০
X