ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম এবং নুর শামস শিবিরে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি ভাঙা শুরু করেছে। দখলদাররা মোট ৯০টি বাড়ি ভেঙে ফেলবে। এর মধ্যে মঙ্গলবার (৬ মে) ভাঙা হবে ১৫টি।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেরিটরিজে সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের তাদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়ার জন্য মাত্র পাঁচ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হবে। এ সময় কেউ বাড়ির ভেতরে থাকলেও ইসরায়েলি বুলডোজার থামবে না।
ইতোমধ্যে ওই এলাকায় ভবন ভাঙার ভারী সরঞ্জাম আনা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ইসরায়েলি সেনা।
চলতি বছরের প্রথম দিকে পশ্চিম তীরে ব্যাপক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। তারা নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং অবকাঠামো ধ্বংস করছে। যা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোতে মারাত্মক ক্ষতি করেছে, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন এবং স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর বিপদ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের নামে যাকে তাকে যখন তখন ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী । তাদের অনেকের খোঁজ মিলছে না।
ইসরায়েল দাবি করছে, কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা সন্ত্রাসবাদ পরিচালনায় যদি কারও সংশ্লিষ্টতা থাকে, তবে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। দখলদার বাহিনী পশ্চিম তীর থেকে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, স্বেচ্ছাসেবকদেরও গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন