ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন বাহিনী কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন না মেনে হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাংবাদিকরাও। একের পর এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকের লাশ পড়ছে গাজায়। সে সংখ্যাটি ২ শতাধিক ছাড়িয়েছে অনেক আগেই।
সর্বশেষ এক পরিসংখ্যানে গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ২৩১-এ পৌঁছেছে। এ বরাতে আলজাজিরা বুধবার (২৩ জুলাই) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এ তালিকায় নতুন করে নিহত দুই ফিলিস্তিনি সাংবাদিক তামের আল-জা’আনিন এবং ওয়ালা আল-জাবারিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইসরায়েলিরা তাদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে উপত্যকায় নিহত গণমাধ্যম কর্মীর সংখ্যা ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-জা’আনিন বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার একজন ফটোসাংবাদিক ছিলেন। অন্যদিকে আল-জাবারি বেশ কয়েকটি মিডিয়া আউটলেটের সঙ্গে সংবাদপত্রের সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি দখলদারত্বের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্যবস্তু, নির্যাতন এবং হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের সহিংসতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে, যা নাৎসি অপরাধকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
যখন গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে তখন এরদোয়ান এ মন্তব্য করেন। বর্তমানে ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা ও অবরোধের ফলে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত লাখো মানুষ চরম সংকটে।
তার মন্তব্য গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন