ইসরায়েলের হামলায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওয়ি নিহত হয়েছেন। এ হামলা ইয়েমেনের যোদ্ধাদের দুর্বল করতে পারবে না বলে হুংকার দিয়েছে ইরান। তেহরান আরও বলছে, হুতি নেতাদের হত্যার ফলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়, সানায় হুতি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ এবং মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে হত্যার প্রতিক্রিয়া তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের কাছ থেকে আসবে। তারা এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ বলে অভিহিত করেছে; যার লক্ষ্য গাজার প্রতি ইয়েমেনের সমর্থন বন্ধ করা।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল ইয়েমেনের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা করছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইয়েমেনের সমর্থন দমন করার লক্ষ্যে কাজ করেছে দখলদাররা। এই অপরাধ ইয়েমেনি জনগণকে দুর্বল করবে না। এটি আরও ক্ষোভের আগুন জ্বালাবে এবং প্রতিরোধের সম্মুখভাগকে প্রসারিত করবে।
আরও বলা হয়েছে, এই বর্বর অপরাধ ইয়েমেনি জনগণের দৃঢ় সংকল্প বাড়াবে। গার্ড বাহিনী এই আক্রমণকে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা বলেছে, ইসরায়েল পূর্ণ মার্কিন সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর নীরবতার ফলে এসব কাজ করে যাচ্ছে।
হুতি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাওয়ি একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। পরে তার বেশ কয়েকজন সঙ্গীও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে তার মৃত্যুর পর পদটির শূন্যতা পূরণে উপপ্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ আহমেদ মিফতাহকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন।
মন্তব্য করুন