রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের জন্য অভিযুক্ত করে ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে কাতার। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা বিনা শাস্তিতে পার পাবে না বলে বার্তা দিয়েছেন তারা। সম্প্রতি দোহায় ইসরায়েলি হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য নিহতের ঘটনার পর নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতে হবে জানিয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল-আনসারি।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
দোহায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল-আনসারি বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার বেপরোয়া নীতির কারণে সৃষ্ট প্রতিটি ব্যর্থতার পর দায় এড়াতে এবং সেগুলোকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করে থাকেন সেটাতে আমরা অভ্যস্ত। তিনি আরও বলেন, আমরাও তাকে একটি বার্তা পাঠাতে চাই যে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে তারা বিনা শাস্তিতে পার পাবে না।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছেন, দোহায় ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে কাতারকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে, বিমানবাহিনীর এ হামলা বিফলে যায়নি।
নেতানিয়াহু এই বক্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি ওই হুঁশিয়ারি দেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কাতারের মধ্যস্থতা সম্পর্কে আনসারি জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হামাসের সঙ্গে আলোচনা করা প্রত্যেককে হত্যা করতে এবং মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রে বোমা হামলা চালাতে চান, যেটি মোটেও যুক্তিসংগত মনে হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে হামাসের শীর্ষ নেতারা কাতারে বসবাস করে আসছেন। গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের মধ্যে কাতার অন্যতম। বাকি দুই দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর।
মন্তব্য করুন