প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন করতে যা দরকার, তার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আরপিওতে যা আছে, সেই পদ্ধতিতেই ভোট হবে।
এ সময় তিনি বলেন, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি সংবিধানে নেই। এ পদ্ধতি আরওপিতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) নেই। ভোটের পদ্ধতি পাল্টাতে হলে সংবিধান এবং আরপিও পাল্টাতে হবে। আমরা আইন বদলাতে পারি না।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অগ্রগতি নিয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, পিআর না প্রচলতি পদ্ধতিতে—এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিইসি বলেন, আরপিও পরিবর্তন করে যদি অন্য একটা দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আইন বদলাতে হবে। আমরা তো আইন বদলাতে পারি না।
যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, তবে ফেব্রুয়ারিতে ভোট করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেটা তো আইন বদলাইতে হবে, আরপিও বদলাতে হবে। আর এখানে আরপিওতে যে সিস্টেম আছে, সেটা বদলাতে হলে সংবিধানও বদলাতে হবে। আবার সংবিধান বদলাতে বলা হলে আমার বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলবে উনি তো পিআরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একটা ফয়সালা বা মীমাংসায় আসুক। উনারা তো বুঝবেন যে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে কি হবে না। যদি উনারা পিআর চান তাহলে উনারা বুঝবেন না।
এ সময় সিইসি বলেন, শাপলা প্রতীক না দিলে কীভাবে নির্বাচন হয়, এনসিপি নেতা সারজিস আলমের এমন বক্তব্যকে হুমকি মনে করি না। রাজনীতিবিদরা অনেক কথাই বলেন, আমরা শুনেই যাবো, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, শাপলা প্রতীক সবার আগে চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য৷ তাদের দেওয়া হয়নি৷ পরে এনসিপি শাপলা চেয়েছে৷ তাই কাউকে এই প্রতীক দেওয়া হয়নি৷
মন্তব্য করুন