

ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রশাসন গড়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ছয় মুসলিম দেশ। তুরস্কের উদ্যোগে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (০২ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সোমবার ইস্তাম্বুলে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে গাজার নিরাপত্তা ও প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের হাতে দ্রুত হস্তান্তরের জন্য আহ্বান জানাবেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেবেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, ফিদান বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরবেন। বর্তমান যুদ্ধবিরতি একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তিতে রূপ দিতে এটি করা হবে। ইস্তাম্বুলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এর আগে সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠক করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন মধ্যস্থতায় হওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ও ইসরায়েলের গাজা থেকে প্রত্যাহারের সময়সূচির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অনির্ধারিত রয়ে গেছে। ফলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও সময় সময় সহিংসতা পুনরায় দেখা দিচ্ছে।
সূত্রটি জানায়, ফিদান বৈঠকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভাঙার অজুহাত তৈরির বিষয়টি তুলে ধরা হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের ‘উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের’ বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে আহ্বান জানানো হবে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনাসূচির মধ্যে গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তার অপ্রতুলতা এবং ইসরায়েল এই বিষয়ে নিজ দায়িত্ব পালন না করার বিষয়টিও রয়েছে।
মন্তব্য করুন