অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে হামলা চালিয়ে রোগীসহ বাস্তুচ্যুতদের জোর করে বের করে দিয়েছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা এএফপি। শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তাসংস্থার প্রকাশিত ফুটেজে দেখো গেছে, হাসপাতালটি থেকে শত শত ফিলিস্তিনিকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সেখানে কয়েক দিনের অভিযান চালায় ইসরায়েল।
ছবিতে দেখা গেছে, সেখানকার একটি বিধ্বস্ত সড়ক দিয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুরা হেঁটে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে যাচ্ছেন। তাদের পেছনে সেনাবাহিনীর একটি বুলডোজার চলতে দেখা গেছে।
এএফপির প্রতিবেদক জানান, এসব মানুষের মধ্যে অসুস্থ ও আহতরাও ছিলেন। তারা গাজার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার দিকে চলে গেছেন।
এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আল-শিফা হাসপাতালে ১২০ জন রোগী ও অসংখ্য অপরিণত শিশু রয়েছে।
এরও আগে হাসপাতালটির পরিচালক আলজাজিরাকে জানান, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সব রোগী মারা গেছেন।
গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছিল, আল-শিফার আইসিইউতে থাকা ৬৩ রোগীর ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মাত্র দুদিনের মাথায় বাকি সব রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া বলেন, হাসপাতালের ভেতরে সাত হাজার মানুষ আটকা আছেন। চিকিৎসকরা এখনো রোগীদের চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে চলেছেন। ইসরায়েলি বাহিনী কাউকে ঢুকতে বা বের হতে না দেওয়ায় হাসপাতালটি বড় কারাগার ও গণকবরে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালটি ঘেরাও করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এখন আমাদের কাছে কিছুই নেই। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার, পানি কিছুই নেই। প্রতিমুহূর্তে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
মন্তব্য করুন