চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই মিসরের রাজধানী কায়রো ছেড়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের প্রতিনিধি দল। রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য গোষ্ঠীটি মিসরে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) তারা কায়রো ছেড়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, হামাসের প্রতিনিধি দল কায়রো ত্যাগ করলেও ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা অব্যাহত থাকবে। সিদ্ধান্তে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ আলোচনা চলবে। চুক্তিতে অগ্রগতির দুর্বলতার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন হামাসের এক কর্মকর্তা।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, আজ সকালে প্রতিনিধিরা আন্দোলনের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনার জন্য কায়রো ছেড়ে এসেছে। তবে আগ্রাসন বন্ধ করতে, বাস্তুচ্যুতদের ফেরাতে এবং আমাদের জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা আনতে আলোচনা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, ইসরায়েলের নিস্ক্রিয়তায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার চূড়ান্ত হয়নি। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় কায়রোতে চার দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ইসরায়েলে হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাস গাজায় অভিযান বন্ধ, সেনা প্রত্যাহার, ত্রাণ প্রবেশের স্বাধীনতা ও বাস্তচ্যুতদের ফেরানোর দাবি জানিয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এর আগে সংবাদমাধ্যম জানায়, বর্তমানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন চুক্তি সম্পাদনে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে অধিকতর আলোচনার জন্য কাতার সফর করেছে ইসরায়েলি একটি প্রতিনিধিদল।
আলজাজিরা আরবি বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুপক্ষের মধ্যে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হতে পারে। এ সময় হামাসের হাতে বন্দি ৪০ ইসরায়েলির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ৪০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির সময়ে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে। সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করা হবে। প্রতিদিন ৫০০টির মতো ট্রাক ত্রাণসহায়তা নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাবে।
মন্তব্য করুন