ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় নির্মমতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। দেশটির এ নির্মমতা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না গাজার হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিদ্যালয় বা মসজিদও। ইসরায়েলের এ হামলায় গাজার ৮০ শতাংশ বাড়িঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শনিবার (০৯ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামেহ মারুফ বলেন, গাজায় অব্যাহতভাবে খাবার আর আশ্রয়ের সংকট বাড়ছে। উপত্যাকায় কোনো খাবার বা আশ্রয়ের জায়গা নেই বললেই চলে।
তিনি জানান, গত পাঁচ মাসের এ যুদ্ধে উপত্যাকার ৮০ শতাংশ বাড়িঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সেখানকার এক লাখ ২০ হাজার পরিবার দুর্ভিক্ষে ভুগছেন।
এর আগে আলজাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধের কথা ভুলে না যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন। পবিত্র রমজানে আফ্রিকার দেশ সুদানে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হলে এই আহ্বান জানায় দেশটি।
জাতিসংঘ নিযুক্ত চীনের উপরাষ্ট্রদূত দাই বিং নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, রমজান মাসে সুদানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করলেও গাজার জনগণ এখনো যে বোমাবর্ষণের শিকার হচ্ছে তা নিরাপত্তা পরিষদের ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে হবে।
এতদিন পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে খবর আসছিল। তবে রমজান শুরুর আগে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) ফিলাডেলফিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন